রপ্তানি জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে নাটোরের গোডাউনে আটকে আছে শত শত টন পাট ও পাটজাত পণ্য। আটকে পড়া পাট বিক্রি করতে না পেরে কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পরিসংখ্যান বলছে, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীনসহ ১৩টি দেশে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। মোট রপ্তানির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। কিন্তু গত ২৭ জুলাই পাট, সুতা, চটসহ ৯টি পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন নাটোরের পাট রপ্তানিকারকরা।
পাট চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, পাটের দাম তারা ঠিকমতো পাচ্ছেন না। যেহেতু তাদের মূল ব্যবসাটা ভারতের ওপর নির্ভর করে তাই ভারতের নিষেধাজ্ঞায় ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ ও ভারতে পাটের বাজারের দামে পার্থক্য না থাকলে কৃষক বাঁচবে বলেও জানান তারা।
পাটজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় পাটকলে স্থবিরতা নেমে আসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র পাটকলও বন্ধ হওয়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। বিকল্প দেশে পণ্য রপ্তানির উৎস খোঁজার তাগিদ তাদের।
নাটোর জুট মিলসের সত্ত্বাধিকারী শ্যাম সুন্দর আগারওয়াল বলেন, ‘নাটোর থেকে যে পাট রপ্তানি হয় তার ৯৫ শতাংশই স্থলপথে রপ্তানি হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে কৃষকরা পাটের চাষ না ও করতে পারে। আমাদের জুট মিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
নাটোর জুট মিলসের সত্ত্বাধিকারী সোহান আগারওয়াল বলেন, ‘রপ্তানির জন্য যে পাট বেঁচে যায় তার সিংহভাগ যায় ভারতে। কিন্তু ভারত সরকার আমদানি বন্ধ করাতে যে পাট থেকে যাবে, তাতে কৃষক হয়তো ন্যায্যমূল্য না ও পেতে পারেন।’
পাট রপ্তানির তৃতীয় জেলা হিসেবে পরিচিত নাটোরে প্রতিবছর ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। আর পাট উৎপাদন হয় প্রায় ৭৬ হাজার টন। ।