হংকং কনভেনশন অনুযায়ী দেশের জাহাজ শিল্প খাতে পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপইয়ার্ড সনদের মেয়াদ শেষ জুন মাসে। এর মধ্যে মাত্র ১৪টি ইয়ার্ড এ সনদ অর্জন করেছে। বাকি অর্ধশত ইয়ার্ড সনদ না পাওয়ায় বিশ্ববাজার থেকে আর জাহাজ কিনতে পারবে না।
এমন পরিস্থিতিতে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড পরির্দশনে এসে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘জাহাজ ভাঙা খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব ছিলো, কিন্তু কোনো সরকার এ খাতে সেভাবে নজর দেয়নি। এখন অর্থসংকট, পরিবেশ সনদ ও নীতিগত সহায়তার অভাবে ভুগছে এ খাত।’
তিনি বলেন, ‘এটা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এটাতে আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত আমরা সেভাবে নজর দিতে পারিনি। আগামীতে এগুলো নিয়ে আলোচনার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। আমি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে বসার জন্যএকটা উদ্যোগ নেব।’
তবে যেসব ইয়ার্ড গ্রিন সনদ অর্জন করেছে তারাও আছে নানামুখী হয়রানিতে। পরিবেশের লাল তালিকাভুক্ত শিল্প হওয়ায় সরকারি সনদ প্রাপ্তি ও ব্যাংকের ঋণ সহায়তা পাচ্ছে না শিপ ইয়ার্ডগুলো।
এস আর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সহায়তা আমরা চাচ্ছি যে, নিয়ম অনুযায়ী শিপটাকে রিসাইকেল করতে যা যা প্রসিজার আছে, সেগুলো যেন সময়মতো হয়।’
বিএসবিআরএ’র সচিব আসানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যখন উন্নত অবস্থায় চলে আসছি, এখন আমরা পরিবেশ শ্রেণির লাল শ্রেণিতে অবস্থান করছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে আরও লাভজনক করতে নতুন জাহাজ কিনতে চায় সরকার। এলএনজি নির্ভরতা বাড়ায় আগামীতে এলএনজি গ্যাস কেনার পরিকল্পনাও আছে।’
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকার আরও তিনটি জাহাজ কেনার জন্য টাকার হিসেব দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার জাহাজ যেন বাড়ে।’
বর্তমানে জাহাজ ভাঙা শিল্পে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত। তবে বাংলাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর নানা অভিযোগের মুখে চাপে আছে এ শিল্প খাত।