যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কারখানাগুলোয় তৈরি পোশাকের বাড়তি ক্রয়াদেশ দিতে দরকষাকষি করছে অনেক মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, যে অর্ডারগুলো তারা ধরে রেখেছিলো সে অর্ডারগুলো এখন তারা ধীরে ধীরে প্লেস করছে। তো এটা নতুন কোনো ক্রয়াদেশ তা না কিন্তু।
ভারত ও চীনে উচ্চ শুল্কের কারণে ক্রয়াদেশ সরিয়ে আনতে চায় এসব ক্রেতা। অন্যদিকে, মার্কিন ক্রয়াদেশ ধরে রাখার কৌশল হিসেবে ভারতের বড় রপ্তানিকারকেরা তৈরি পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চীনা বিনিয়োগকারীরাও।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘ভারতের যে এক্সপোর্ট বাস্কেট সেখান থেকে গার্মেন্টস ছাড়া অন্য কিছু নেয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই। তা আইটি, জুয়েলারি যা ই হোক তাতে হাত দেয়ার সক্ষমতা আমাদের বাংলাদেশের নেই।’
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্ডার একটু বেশি আসবে। কিন্তু ভারত যেসব টিশার্ট করে মেজরিটি হলো এমব্লিশমেন্ট, চিলড্রেন, ফ্যান্সি, লেডিস ব্লাউজ, লেডিস টপস যেগুলো বাংলাদেশে আমরা সেই অর্থে কন্টিনিউ করি না।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘লো ভেল্যু গার্মেন্টস সেগমেন্ট থেকে তারা এক্সিট করে যাচ্ছে। যেখানে ১ বা ২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেলে ব্যবসার ক্ষতি হয় সেখান থেকে তারা কিন্তু সরে আসবে। এবং সরে আসার ক্ষেত্রে যে দেশগুলোতে তারা যেতে পারে তার সর্বাগ্রে আছে বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, মার্কিন ক্রেতাসহ আগের স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশও ফিরতে শুরু করেছে। এতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে যারা মার্কিন ক্রেতাদের কাজ করছেন।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আশা রাখতে পারি সরকার ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায়োরিটি দিবে এবং গ্যাসের সরবরাহ ঠিক রাখবে। কিন্তু এক্সপানশনের ক্ষেত্রে যারা নতুন তারা কেউই কিন্তু কানেকশন পাচ্ছে না।’