নিষেধাজ্ঞা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যে ধস!

বেনাপোল স্থলবন্দর
দেশে এখন
অর্থনীতি
0

নতুন অর্থবছরের শুরুতেই দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে ধস নেমেছে বাণিজ্যে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা আর রাজনৈতিক অস্থিরতার ছায়া পড়েছে বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা ও শ্রমিকদের জীবনে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমদানি রপ্তানি কিছুটা কমেছে।

বেনাপোল বন্দরে গত অর্থবছরে ২১ লাখ ৩০ হাজার টন পণ্য আমদানি হলেও এবার তা কমে হয়েছে ২০ লাখ ৫৬ হাজার টন। একইচিত্র রপ্তানিতেও নেমেছে ধস। একবছরে কমেছে প্রায় ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ ট্রাক পণ্য আসত, এখন তা নেমেছে তিনশ'র নিচে। এমনকি রপ্তানি হচ্ছে আরও কম, ১০০ ট্রাকেরও নিচে।

ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কারণে রপ্তানি অনেকাংশেই কমে গেছে। আগে আড়াইশো বা সাড়ে তিনশো গাড়ির মতো এক্সপোর্ট হলেও বর্তমানে তা ৫০ গাড়িতে এসেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

আমদানি- রপ্তানি কমায় বিপাকে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। কাজ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে বন্দর শ্রমিকরা। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ও বিধিনিষেধ শিথিল না করতে পারলে বন্দর-কেন্দ্রিক বাণিজ্যে আরও বড় ধস নামবে।

আরও পড়ুন:

ব্যবসায়ী ও বন্দর শ্রমিকরা জানান, আমদানি অনেকাংশেই কমে গেছে। আগামী অর্থবছরে রাজস্বে বড় ধরনের একটা ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা এবং কড়াকড়ি আরোপ করার করণে এরইমধ্যে বিভিন্ন পণ্য বেনাপোল ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ভোমরায় চলে গেছে এবং এতে অনেক ব্যবসায়ী কাজ ছেড়ে বেকারত্ব বরণ করছেন বলে জানান তারা।

বেনাপোল কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরে আমদানি রপ্তানি কম বেশি হওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বছরের একটা সময় কমে আবার পরবর্তীতে তা বেড়ে যায়। তবে দ্রুতই বাণিজ্যে গতি ফিরবে বলে আশাবাদী তিনি।

যশোর বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়তো একটু কম থাকবে। এরপর আবার সেই আমদানি রপ্তানির স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।’

গত ৮ এপ্রিল থেকে ভারত তাদের আকাশপথ ব্যবহার করে বাইরের দেশে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৭মে আরেকটি নিষেধাজ্ঞায় গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, তুলা, সুতির বর্জ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব ও ফলজাত পণ্য রপ্তানিও নিষিদ্ধ করে। এতে দুই দেশের বাণিজ্যে বড় ধস নামে।

ইএ