তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়ালো প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকায়

ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়ালো প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকায়। গত ডিসেম্বরে শেষে মোট বিতরণ করা ঋণের ২০.২ শতাংশই খেলাপি। আজ (বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গত ১৫ বছর তথ্য গোপনের ফলে এতদিন এ ঋণ কম ছিল বলে জানান তিনি।

পতিত আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরে একে একে ব্যাংক দখল আর অর্থ লুটপাটে খাদের কিনারায় এ খাত। ২০১৭ এর পর থেকে ব্যাংক থেকে বিতরণ হওয়া মোট ঋণের ৮৭ শতাংশ একাই নিয়েছে এস আলম। আর সালমান এফ রহমান ও নজরুল ইসলাম মজুমদার নিয়েছে লাখ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি বিগত সরকারের মদদপুষ্ট অনেক শিল্পগ্রুপ।

হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি অনেক ব্যবসায়ী। আবার তথ্য গোপন বা পুনঃতফসিল করে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর অভিযোগও রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল পৌনে তিন লাখ কোটি টাকা। তবে ডিসেম্বর শেষে তা আরো বেড়েছে।

গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা মোট ঋণের ২০.২ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরের তুলনায় ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ।

তিনি জানান, মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ৪২.৮৩ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে এ হার ১৫.৬০ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মোট ঋণের ২০.২ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।’

এসময় খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় তথ্য গোপন ও ঋণে অনিয়মের কথা জানান তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা জানি আগে এইটা কম করে দেখানো হতো। যার পরিমাণ ছিল ৯ শতাংশের মতো। আরো বেশি বাড়বে এইটা আমার ধারণা মনে হচ্ছে।’

অপরদিকে রিজার্ভের সংকট কাটিয়ে উঠার কথা জানান গভর্নর। এতে মার্চ মাসেও আইএমএফের শর্ত পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে বলে জানান গভর্নর। তিনি জানান যেসব ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না তাদেরকে একীভূত বা নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে ভালো করা হবে।

সেজু