বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্ত্বরে প্রায় তিন যুগ পর রাকসু নির্বাচন। ২৮ জুলাই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ডামাডোলের শুরু। পরে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার করার দাবি, ডোপটেষ্টে বিলম্বসহ নানা কারণে পাঁচবার হয় পূর্ণ তফসিল আর তিনবার পেছানো হয় নির্বাচনের তারিখ। সব ছাপিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ স্বস্তি দেয় ক্যাম্পাসের প্রায় ৩০ হাজার ভোটারকে।
এরপর প্রতিদিনই পাল্টে যেতে থাকে প্রার্থীদের প্রচারণার ধরন। বৈচিত্র্যময় লিফলেট, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় চলে প্রার্থীদের রাত-দিনের দৌড়ঝাপ। তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
তবে গেল ১৭ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার তিন দফার আল্টিমেটাম, রাকসু নির্বাচন ঘিরে সংশয় তৈরি করে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার আড়ালে পোষ্য কোটা পুনর্বহালে প্রতিবাদী হয় শিক্ষার্থীরা, চলে আমরণ অনশন আর বিক্ষোভ। এক পর্যায়ে শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এমন পরিস্থিতিতে গেলো দু'দিন ক্যাম্পাসে কমেছে ভোটের আমেজ। পোষ্যকোটার প্রতিবাদে, রাত-দিনের আন্দোলনে, আবাসিক হল, চায়ের আড্ডা কিংবা শিক্ষার্থী জমায়েতে দেখা যায়নি কোন প্রার্থীকে। এতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে ৯শ প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় পর রাকসু নির্বাচন ঘিরে গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, যা অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
যদিও কমিশন বলছে, এরই মধ্যে নির্বাচনের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ, ফলে নির্বাচন ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন না তারা।
পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের। যদিও সেটি না করে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে পোষ্য কোটা স্থগিতের যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন উপাচার্য, সেটি সিন্ডিকেট সভায়ও বহাল রাখা হয়েছে। এতে হতাশ প্রার্থীরা ক্রমেই আগ্রহ হারাচ্ছেন নির্বাচন নিয়ে।





