উপস্থিত দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ে সফলভাবে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠানটি। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডাকসুর এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি ছিল আজকের এই আয়োজনটি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাহিত্য সম্পাদক আবিদ হাসান রাফি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এস এম মইনুল করিম। তারা আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষার গুরুত্ব ও বাংলাদেশ কনটেক্সটে এর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের মূল সংগঠক ও বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিনুর রহমান।
আরও পড়ুন:
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মিনহাজ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান উদ্দিন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নব নির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম।
অনুষ্ঠান শুরু হয় কবিতা আবৃত্তি দিয়ে। একে একে কবিতা আবৃত্তি নিয়ে আসেন রিনা পারভিন,আফসানা হেনা, জাগ্রত জুলাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা বোরহান মাহমুদ এবং শেষে আবৃত্তি বিশ্ব জ্ঞানালয়ের উপাচার্য মৃন্ময় মিজান।
মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবার অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার যে প্রত্যয় নিয়ে হাজির হয়েছি সেটার বাস্তবায়নের লক্ষে আজকের এই আয়োজন। কথা না বলেও যে শুধু মূকাভিনয়ের মাধ্যমেই যে ফ্যাসিবাদের প্রতিরোধ করা যায় সেটা ফুটিয়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। সংস্কৃতিতে বাক প্রতিবন্ধীদের অংশীদারত্ব নিশ্চিত আমরা আজকের এই আয়োজন করেছি।’
ডাকসুর ভিপি সাদিক মোহাম্মদ কায়েম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টি কালচারের প্রাঙ্গণ। এই কালচারের সৌন্দর্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। বিগত ১৬ বছরের আমাদের উপর এক কলকাতা কেন্দ্রিক বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমরা এর থেকে মুক্ত দেশীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি চর্চা শুরু করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে কালচারাল ফ্যাসিবাদ আমরা রুখে দিবো। আর কোনো ফ্যাসিস্টকে আমরা এই বৈষম্যহীন বাংলায়। আমরা গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, মাটি ও মানুষের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাই।’
এরপরের শুরু হয় আয়োজনের হয় মূল আকর্ষণ, মূকাভিনয় প্রদর্শন।
শুরুতেই পারফরমেন্স নিয়ে আসেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম একশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাহিদ রিয়াদ। এরপরে পারফরমেন্স নিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম একশনের সাবেক সভাপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম।
ভবিষ্যতে এরকম আরও আয়োজন উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এবং এক অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে এই আয়োজন শেষ হয়।





