নাটোরের উত্তরা গণভবনের আঙিনা যেন প্রকৃতির রঙিন ক্যানভাস

নাটোরের গণভবনে বিভিন্ন ফুলের ছবি
এখন জনপদে
ফিচার
0

ঝকঝকে রোদে লাল টুকটুকে এক শিল্পকর্ম। খরতাপ ছাপিয়ে এ যেন প্রকৃতির আঁকানো রঙিন ক্যানভাস। প্রকৃতিতে এমন শিল্পের ছোঁয়া লেগেছে নাটোরের ঐতিহাসিক উত্তরা গণভবনের আঙিনায়।

গ্রীষ্মের আগুন ঝরা রোদ আর কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গে আঁকানো প্রাণ-প্রকৃতি। শিল্পীর ক্যানভাসের মতো প্রকৃতি সেজে ওঠে নিজস্ব সত্ত্বায়। চারদিকে ফুটে উঠে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, হৈমন্তি, কাঠগোপালসহ নানা জাতের ফুল।

আর ফুলের এই আবেশে প্রকৃতির রঙে নিজেদের সাজিয়ে তোলেন নারীরা। কখনও গান, কখনও কবিতা বেজে উঠে মনের ভেতর।

ফুলের ঘ্রাণের আবেশে মুহূর্তে দোলা দেয় দর্শণার্থীদের মনে। কৃষ্ণচূড়ার নিচে দাঁড়িয়ে মনে পড়ে যায় কবিতার লাইন, এই নগরীতে কৃষ্ণচূড়ার নিচে, তুমি একা বসে আছো, আর আমি হই নীরব দর্শক।

দর্শণার্থীদের মধ্যে এক নারী বলেন, ‘গ্রীষ্মের এই সুন্দর দুপুরে, কৃষ্ণচূড়া ফুলের লাল রংটা আমাদের খুব বেশি মোহিত করে। আমাদের খুব ভালো লাগে কৃষ্ণচূড়া ফুল, সঙ্গে মৃদু বাতাস এই গণভবনের আবহটাকে খুব সুন্দর করে তোলে।’

উত্তরা গণভবনের ফুলেল উৎসবে কৃষ্ণচূড়া, হৈমন্তি, জারুল, কাঠগোলাপসহ নানা রঙের ফুল, সবই যেন সৌন্দর্য বিলিয়েছে নিজেদের মতো করে। সে সৌন্দর্য উপভোগে সঙ্গী প্রজাপতি আর ফড়িং।

প্রকৃতির এমন এই রঙিন আয়োজন ঘিরে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে দর্শণার্থীদের মাঝে। প্রতিদিনই উত্তরা গণভবন আর নাটোর রাজবাড়িতে আসছেন দর্শণার্থীরা। গণভবন লেকের বালিহাঁসের মনেও যেন লেগেছে আনন্দের ছোঁয়া।

এসএইচ