তিনি বলেন, ‘এই সরকারের দায়িত্ব একটি সুস্থ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করানো অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়।’
পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ভোট দেবেন একজনকে, কিন্তু এমপি পাবেন আরেকজনকে। হাতপাখা দিয়ে যারা আওয়ামী লীগকে ১৬ বছর বাতাস দিয়েছে, তারাই এখন পিআর পদ্ধতি চায়। তাদের সঙ্গে আরও একটি দল এই পদ্ধতি চায়, যদিও আমি নাম বলবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ যদি জুলাই মাসে না হয়, তার দায় সংস্কার কমিশনের। বিএনপিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সংস্কার করতে হলে বিএনপিকেই দরকার, কারণ সংস্কারের সবকিছু বিএনপির ৩১ দফার মধ্যেই আছে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকে চায় বিএনপিকে আওয়ামী লীগের কাতারে ফেলতে। ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা দিয়ে বিএনপিকে ছোট করা হচ্ছে। কুতসা রটানোর চেষ্টা করবেন না। বিএনপি কোনো ঝগড়াটে দল নয়, এটি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই।’
তিনি বলেন, ‘১৭ বছর রাজপথে থেকে বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে লড়াই করেছে। অথচ আজ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যখন একটু স্বস্তি পেয়েছে, তখনও স্বৈরাচারের মত কিছু প্রেতাত্মা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচন পেছাতে চায় যারা, তারা স্বচ্ছতা চায় না।’
তিনি বলেন, ‘নিজ দলের কেউ চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। স্বচ্ছ রাজনীতি গড়তে হবে যাতে ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচার জন্ম না নেয়।’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, তাদের মেম্বার হওয়ারও যোগ্যতা নেই। তারা জানে জনগণের ভোটে জিততে পারবে না, তাই বিকল্প পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে।’
গণমাধ্যম প্রসঙ্গে আমিনুল বলেন, ‘অনেক দোসর এখনো গণমাধ্যমে বসে আছে। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ডে জড়িতদেরও দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন এমন ব্যক্তি যিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।’