টেকনাফ বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণের উপকূলীয় উপজেলা, কক্সবাজার জেলার অংশ। সমুদ্র, পাহাড় আর প্রকৃতির মিলনে এখানে অসাধারণ অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। যেখানে দেখতে পাবেন নাফ নদী আর সমুদ্রের খুনশুটি। যেখানকার জীবন জলনির্ভর—জেলেরা মাছ ধরে, কেউ সাম্পান নিয়ে খুঁজে মুক্তো। জেলেদের কাছে মাছ তো মুক্তোই। টেকনাফের সৌন্দর্যের কাছে গেলে খুঁজে পাবেন নতুন নিজেকে।
টেকনাফ ভ্রমণে যা যা দেখতে পাবেন
টেকনাফ ভ্রমণে দরকার সঠিক গাইড। টেকনাফ ভ্রমণ রুটে প্রথম যাত্রা শুরু হবে শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া থেকে, এরপর শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া, টেকনাফের লবণের মাঠ, টেকনাফের সুপারি বাগান, নেটং পাহাড় ভ্রমণ, টেকনাফ জিরো পয়েন্ট, টেকনাফ স্থলবন্দর, টেকনাফ জেটিঘাট, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফ বাজার। টেকনাফের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও ছেঁড়া দ্বীপ। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, টেকনাফ থেকে জাহাজে যেতে হয়। সাদা বালির সৈকত আর নীল পানি পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
শাহপরীর দ্বীপের পরিচিতি
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপ বাংলাদেশের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তের একটি ছোট্ট জনপদ। দ্বীপটির বাম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাফ নদী, যা বাংলাদেশকে মিয়ানমার থেকে আলাদা করেছে। টেকনাফ থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৩.৭০ কিলোমিটার। প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস এ দ্বীপে, যাদের মূল জীবিকা মাছ ধরা ও লবণ চাষ। শাহপরীর দ্বীপ থেকে স্পষ্ট দেখা যায় মিয়ানমারের মংডু প্রদেশ, আরাকান পাহাড় এমনকি দূরের সেন্টমার্টিনও।

শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া
নাফ নদী আর বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা এই দ্বীপে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি গ্রাম হলো জালিয়াপাড়া। এ পাড়ার মানুষ মূলত জেলে সম্প্রদায়ের। যাদের জীবন-জীবিকা ঘুরপাক খায় সমুদ্রের ঢেউ আর মাছ ধরার সঙ্গে।জালিয়াপাড়া শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।

জালিয়াপাড়ার মানুষের জীবিকা—
ছোট নৌকা বা ট্রলার নিয়ে তারা গভীর সমুদ্রে যায়। ইলিশ, চিংড়ি, লইট্টা, রূপচাঁদা, কোরালসহ নানা ধরনের মাছ ধরে। সমুদ্রতীরে মাছ শুকিয়ে শুঁটকি উৎপাদন এখানে প্রচলিত।

মাছ ধরার জাল মেরামত, তৈরি ও বিক্রি এখানকার পরিবারের বাড়তি আয়ের উৎস। দ্বীপের অন্যান্য অংশের মতো জালিয়াপাড়াতেও লবণ চাষ হয়, তবে তা মাছ ধরার তুলনায় কম।
টেকনাফের লবণের মাঠ
টেকনাফের শোভা বৃদ্ধি করে এখানকার বিস্তীর্ণ লবণের ক্ষেত। বিশেষ করে টেকনাফ সিকদারপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, নয়াপাড়া এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীসহ অন্যান্য এলাকায় লবণ চাষ হয়।

বর্ষা শেষে পানি শুকিয়ে গেলে সাদা লবণের ক্ষেত যেন বিশাল কার্পেটের মতো বিস্তৃত হয়ে যায়। এই মাঠগুলোতে স্থানীয়রা দিনের বেলা কড়া সূর্যের তাপ সহ্য করে লবণ চাষে ব্যস্ত থাকে।
টেকনাফের সুপারি বাগান
টেকনাফের সাবরাং এলাকায় সুপারি চাষ হয়ে থাকে। পাহাড়ি ঢাল ধরে এইসব বাগান করা হয়ে থাকে। স্থানীয়রা মূলত সুপারি চাষকে জীবিকার অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহার করে।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব সুপারি বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হয়। এসব এলাকার এক হাটেই অন্তত ৮০ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি হয়।
নেটং পাহাড় ভ্রমণ
টেকনাফ শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে নেটং পাহাড় প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য দারুণ একটি গন্তব্য। পাহাড়ে উঠলেই পাওয়া যায় বন্য সৌন্দর্যের স্বাদ। এখানে রয়েছে হাতি, হরিণ, বানর, ভুতুম প্যাঁচা, পাহাড়ি মুরগি, ময়ূর, এমনকি মেছো বাঘের মতো বন্যপ্রাণীর বসবাস।

পাহাড়ের পথে এগোতে এগোতে চোখে পড়বে পাহাড়ের গা বেয়ে নামা ঝিরি-ঝরনা, যা ভ্রমণে যোগ করবে বাড়তি আনন্দ। চূড়ায় পৌঁছালে পাহাড় সারির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর দূরে দেখা মিলবে নাফ নদীর অপরূপ রূপ। পাহাড়ের কাছেই রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সেনাদের তৈরি বাংকার এবং ঐতিহাসিক টি অ্যান্ড টি ভবন।
আরও পড়ুন:
টেকনাফ জিরো পয়েন্ট
এখানে নাফ নদীর তীরে অবস্থিত বিখ্যাত টেকনাফ জিরো পয়েন্ট, যা মূলত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত চিহ্ন হিসেবে পরিচিত। একদিকে নাফ নদীর স্বচ্ছ জল, অন্যদিকে ওপারে মিয়ানমারের পাহাড়ি দৃশ্য—সব মিলিয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও পর্যটন স্পট।

জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে নাফ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। নদীর ওপারে মিয়ানমারের আরাকান পাহাড় স্পষ্ট চোখে ধরা পড়ে।
টেকনাফ স্থলবন্দর
টেকনাফ স্থলবন্দর দেশের একমাত্র সমুদ্র সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর। ১৯৯৫ সালে কার্যক্রম শুরু হওয়া এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিস্কুট, পোশাক, ওষুধ, মশলা ও সিরামিকস রপ্তানি হয়; মিয়ানমার থেকে আসে মাছ, কাঠ, ফল, বাদাম, আদা ও রসুন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগের কারণে বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর প্রভাব গভীর।কারণ বন্দর ঘিরে বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহন খাত গড়ে উঠেছে।
টেকনাফ জেটিঘাট
টেকনাফ উপজেলার জেটিঘাট দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ কেন্দ্র। এখান থেকে স্থানীয় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। পর্যটকরা জেটিঘাট থেকে সহজেই সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারেন।

ঘিরে আছে ছোট বাজার ও সামুদ্রিক খাবারের দোকান। নদী ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থল, পাহাড়ি দৃশ্য ও জেলেদের জীবনযাত্রা দেখার জন্য এটি আকর্ষণীয়। জেটিঘাট কেবল যাত্রী নোঙর কেন্দ্র নয়, স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সেন্ট মার্টিন ও ছেড়াদ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হলো সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগরের বুকে ভেসে থাকা এই ছোট্ট দ্বীপ প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে স্বপ্নের গন্তব্য। প্রায় ৭.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপকে স্থানীয়ভাবে ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ নামেও ডাকা হয়।
মূল দ্বীপ ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ, যা ছেড়াদ্বীপ নামে পরিচিত। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিতে ঢেকে গেলেও ভাটার সময় হেঁটে যাওয়া যায় এ দ্বীপে।

যেদিকে চোখ যায়, শুধু নীল আর নীল। আকাশ আর সমুদ্রের নীল মিলে যেন একাকার হয়ে গেছে সেন্ট মার্টিনে। অগভীর দীর্ঘ সমুদ্রতট, ঢেউয়ের ছন্দ, আর স্বচ্ছ পানিতে খেলা করা রোদের ঝলক পর্যটকদের মুগ্ধ করে রাখে সারাক্ষণ। সৈকতের ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি নান্দনিক নারিকেল গাছ যেন বাতাসের সঙ্গে পাতায় দোলা দিয়ে এই সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করে।

সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে কাঁকড়া, ঝিনুক, গাঙচিল আর জেলেদের মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার। দ্বীপের অগভীর স্বচ্ছ পানিতে দেখা মেলে জেলি ফিশ, রঙিন সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ আর প্রবালের অসাধারণ সমাহার। এসব মিলিয়েই সেন্ট মার্টিনকে করেছে অনিন্দ্যসুন্দর এবং একেবারেই আলাদা। প্রকৃতি যেন তার সমস্ত রঙ একসাথে ঢেলে দিয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপে।
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজারের টেকনাফে অবস্থিত এই সৈকত কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত হলেও তুলনামূলকভাবে শান্ত ও কম ভিড়যুক্ত। বালুকাময় তীর, আকাশছোঁয়া ঢেউ, নাফ নদী ও পাহাড়ের দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

ভোর ও সন্ধ্যায় সূর্যোদয়-সুর্যাস্তের দৃশ্য বিশেষ মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। সৈকতের আশপাশে ছোট দোকান, স্থানীয় খাবার ও নৌকা/ট্রলার রয়েছে।
পর্যটকরা এখান থেকে শাহপরীর ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করতে পারেন। বিজিবি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে সৈকতটি নিরাপদ।
থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প
টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বড় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর একটি।

২০১৭ সালের পর থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এখানে আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান করে থাকে।
টেকনাফ বাজার
ভ্রমণে রঙ ছড়াতে ভুলবেন না টেকনাফ বাজারে। ছোট্ট এই বাজার আসলে এক ধরনের বার্মিজ মার্কেট, যেখানে পাওয়া যায় নানা রকম সামগ্রী—শুঁটকি, মাছ, মুরগি, সবজি, শাড়ি-কাপড়, বাসনকোসন থেকে শুরু করে বার্মিজ পণ্য।

বাজারের কাছেই রয়েছে ইতিহাসখ্যাত মাথিনের কূপ, যা মাথিন নামের এক মেয়ের প্রেম ও দুঃখের গল্পে ঘেরা। স্থানীয়রা ও ভ্রমণপিপাসুদের নিয়মিতই এই স্থান দেখতে আসেন।
টেকনাফ ভ্রমণের সেরা সময়
সাধারণত শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ ও নেটং ভ্রমণের সেরা সময় শীতকাল। তখন আবহাওয়া মনোরম থাকে, ঘোরাঘুরি আর প্রকৃতি উপভোগের জন্য একদম উপযুক্ত।
বর্ষায় নদী-সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায়, তবে গরমকালে ভ্রমণ এড়িয়ে চলাই ভালো।
কীভাবে যাবেন টেকনাফ
টেকনাফ ভ্রমণের জন্য ঢাকা থেকে দুইভাবে যাওয়া যেতে পারে। ট্রেন ও বাস। সরাসরি কক্সবাজার উদ্দেশে সকাল ও রাতে ঢাকা থেকে দুইটি ট্রেন ছেড়ে যায়। এছাড়া এখন সরাসরি কিছু পরিবহন ঢাকা থেকে টেকনাফ যায়। ঢাকা থেকে টেকনাফ সরাসরি এসি ও নন এসি বাস রয়েছে।
ঢাকা থেকে টেকনাফ নন এসি বাস ভাড়া মানভেদে ১১০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা। আর এসি বাস ভাড়া ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এসি বাসগুলো সাধারণত স্লিপার বিজনেস ক্লাস।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার নন এসি বাস ভাড়া ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা। আর এসি বাস ভাড়া ১১০০ থেকে ২০০০ টাকা। বাসের টিকেট সহজে কাটা যাবে বিডি টিকেটস ডট কম থেকে।
কক্সবাজারে পৌঁছে লিংক রোড ও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে টেকনাফগামী বাস পাওয়া যায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতে সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
আর ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারেন। এক্ষেত্রে দুইটি ট্রেন ঢাকা থেকে সকালে ও রাতে ছেড়ে যায়।
ঢাকা থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন প্রতি ভাড়া ৬৯৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫৯০ টাকা। আর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন প্রতি ভাড়া ৬৯৫ টাকা থেকে শুরু করে ২৪৩০ টাকা।
কোথায় থাকবেন
বর্তমানে টেকনাফে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষ পর্যটন এলাকা। টেকনাফ সদর থেকে নাফ নদীর দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। অনেকে শহরের দিকে না গিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত পর্যটন মোটেল নেটং, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলো ও বন বিভাগের বাংলোয় রাতযাপন করেন।

এছাড়া সকালে টেকনাফে পৌঁছে সারাদিন ঘুরে রাতে কক্সবাজার এসেও রাতযাপন করতে পারেন। এক্ষেত্রে মানভেদে কক্সবাজার হোটেল, মোটেল, আবাসিক হোটেল, ডাকবাংলো ভাড়া ৪০০ থেকে ২৫০০০ হাজার টাকা হতে পারে।
যারা পাহাড় ভালোবাসেন, নদীতে নৌকায় হাওয়ায় ভেসে থাকতে পছন্দ করেন, সমুদ্রস্নানে রোমাঞ্চ খোঁজেন, কিংবা শুধু বসে থেকে গল্প, ঘুম আর কেনাকাটার মাঝে ভ্রমণকে উপভোগ করতে চান—শাহপরীর দ্বীপ থেকে নেটং হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত এই ভ্রমণ তাদের জন্য আদর্শ একটি যাত্রা। প্রকৃতির সৌন্দর্য, ইতিহাস আর মানুষের গল্প মিলিয়ে এই ভ্রমণ হবে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।