প্রদর্শনীটির মূল আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সহযোগিতা করছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন- চায়নিজ মেডিকেল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, চায়না-বাংলাদেশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং আমরা নারী।
‘নি হাও! চীনা-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ আয়োজনে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওপেং, অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মো. মুনিরুল ইসলাম, ও চায়নার খ্যাতনামা হাসপাতাল ও চিকিৎসাযন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এ প্রদর্শনীতে রোগীরা চায়না চিকিৎসা সম্পর্কে ও চীনা চিকিৎসক দেখানোর বিষয়ে যাবতীয় সহযোগিতা পাবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন চীনের বেশ কিছু হাসপাতালের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মারুফ মোল্লা বলেন, ‘এ আয়োজন শুধু প্রদর্শনী নয়, বরং বাংলাদেশ–চায়নার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায়। চায়নার উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করতে আমরা বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছি।’
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও আমরা নারীর প্রতিষ্ঠাতা এম এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘নি হাও! চায়না-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ স্বাস্থ্য বিষয়ক এই আয়োজনকে ঘিরে গণমাধ্যমের অংশগ্রহণকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই সাংবাদিকদের জন্য থাকবে প্রদর্শনীর বিশেষ এক্সেস, লাইভ কাভারেজ সুবিধা এবং প্রেস কিট। আমরা আন্তরিকভাবে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে বাংলাদেশের মানুষ এই সুযোগ সম্পর্কে সচেতন হয় এবং প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণে আগ্রহী হয়।’
আরও পড়ুন:
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশের কনসালটেন্ট ডা. রাশেদুল হাসান (রুবেল) উল্লেখ করেন- এই আয়োজনে গণমাধ্যমের আমন্ত্রণ ও প্রচারের ভূমিকা: ‘নি হাও! চায়না-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ নিয়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তরিকভাবে সাংবাদিক, পত্রিকা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে এই স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রদর্শনী ও প্রচারাভিযানের অংশীদার হওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। উদ্দেশ্য হচ্ছে, মিডিয়ার মাধ্যমগুলোর সাহায্যে আমাদের বার্তাটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে চায়নার ১২টির বেশি স্বনামধন্য হাসপাতালের প্রতিনিধি, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে চীনের বোও ইয়িলিং হাসপাতাল; ফোসুন হেলথ ও শেনজেন হেংশেং হাসপাতাল; ফোশান ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল; গুয়াংজু ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল; গুয়াংজু শেংমেই হাসপাতাল; গুয়াংজু ফুদা ক্যানসার হাসপাতাল; কুনমিং থংরেন হাসপাতাল; মডার্ন ক্যানসার হাসপাতাল ও গুয়াংজু সিং মে হাসপাতাল।
প্রদর্শনীতে রোগীরা পাবেন অনসাইট ও অনলাইন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, সরাসরি চায়নার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার আমন্ত্রণপত্র, অনস্পট ভিসা সহায়তা, ভিসা প্রসেস, আমন্ত্রণপত্র প্রদান ও চায়না যাত্রার সহযোগিতা। এছাড়া বিমানবন্দর, পিকআপ থেকে শুরু করে ফ্রি অনুবাদ সেবাসহ যাবতীয় সহায়তা থাকবে রোগীদের জন্য।
বনানীর হোটেল সারিনায় সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।