চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ড্রেনে জমে আছে পানি। যেখান থেকে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। এতে দিন দিন বাড়ছে মশার উপদ্রব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিনিয়ত আসছেন রোগীরা। পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গু পজিটিভ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে মিস্ত্রিপাড়া, বালুবাগান, পিটিআই, নিচতলা, ফুলকুড়ি ও পুরাতন বাজারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে রেডজোন হিসেবে। ড্রেন ও খাল পরিষ্কারের পাশাপাশি মশা নিধন কর্মসূচি সময়মতো বাস্তবায়নের দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না ড্রেন বা ময়লা-আবর্জনা। পৌরসভা থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ তাদের।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতার অভাবই এর অন্যতম কারণ বলে জানান চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, সমস্যা সমাধানে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার আশ্বাস পৌর কর্তৃপক্ষের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ডেঙ্গু হওয়ার কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে জনসচেতনতার অভাব। নিজেরা সচেতনভাবে মশারি ব্যবহার করছে না। আবার প্রশাসনিকভাবেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশীদ বলেন, ‘কয়েক মাস হলো আমাদের মাস্টার ড্রেন নির্মাণে ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন হলে আমরা ড্রেনের ভালো একটা সুবিধা পাবো। এটা হলে অদূর ভবিষ্যতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না।’
গত ৬ মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সদর হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।