বছরের শুরু থেকেই বরগুনায় বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগী। প্রাক বর্ষা মৌসুমে এডিস মশা রীতিমতো তাণ্ডব চালায় এ জেলায়। জুন-জুলাইয়ে প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছায় গ্রাফের শীর্ষে। বরগুনাকে ঘোষণা করা হয় ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে।
আগস্টের শুরু থেকে কমতে শুরু করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা দেন, আগস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে বাড়তে পারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সদর হাসপাতাল ঘুরেও দেখা যায় বিশেষজ্ঞদের ধারণাই সঠিক। নতুন করে শুরু হয়েছে ডেঙ্গুর স্রোত। এতে উদ্বিগ্ন রোগী ও স্বজন।
বরগুনা সদর হাসপাতাল কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘এ সেক্টরকে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। এভাবে সবারই কষ্ট হচ্ছে। রোগীরা যেমন সন্তুষ্ট নয় তেমনই আমাদের ওপরও অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।’
স্বাস্থ্য সেবায় আলোর মুখ দেখেনি বরগুনা সদর হাসপাতাল। আইসিইউ, সিসিইউসহ রয়েছে নানা সংকট। ফলে বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল। এসব সংকটের সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল।
আরও পড়ুন:
সচেতন মহলেরা জানান, বরগুনাতে কোনো আইসিইউ সিসিইউ নেই। ফলে রোগীকে পাঠানো হচ্ছে দূরে। বরগুনাতে আইসিইউ বিশেষ প্রয়োজন। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ সবদিকেই নজর দিতে হবে বলে জানান তারা।
এদিকে ডেঙ্গুর নতুন স্রোত মোকাবিলাসহ ভবিষ্যতে এডিসের প্রকোপ ঠেকাতে পদক্ষেপের কথা জানান সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসক।
বরগুনা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘আইসিইউতে আমাদের অবকাঠামো হয়ে গেছে। লোকবল এবং যন্ত্রপাতি আসলে আমরা আইসিইউ চালু করতে পারবো।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘সমস্যাটি যেন বিস্তার করতে না পারে এ জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি পৌরসভাকে নির্দেশ দেয়া আছে নিয়মিত এ বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে।’
আজ (শনিবার, ৩০ আগস্ট) সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৪ জন, এ নিয়ে বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৯৯৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৪।