ছবির মতো সুন্দর স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখতে পর্যটকদের ভিড়

স্ট্যাচু অব লিবার্টি
প্রবাস
0

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ দেখতে প্রতি বছর ভিড় করেন ৩৭ লাখের বেশি পর্যটক। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সমানভাবে জেগে থাকে টাইমস স্কয়ার। ছবির মতোই সুন্দর এই স্থান। হাডসন নদী কিংবা ব্রুকলিন ব্রিজের জৌলুসও ভ্রমণপিপাসুদের মনে দাগ কাটে বটে।

মশাল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ ভাস্কর্যটি চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক হারবারের এই রোমান দেবী বিশ্ব বিখ্যাত।

১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভাস্কর্যটি উপহার দেয় ফ্রান্স। প্রতিবছর তাই এই দিনে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ র জন্মদিনও উদযাপন করা হয়। কী শীত, কী গরম প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ এটি দেখতে ভিড় করেন।

একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘আমি ফ্রান্স থেকে এসেছি। প্রথমবার এলাম নিউইয়র্কে। এসেই দেখতে এলাম 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি।’ ফেরিতে করে দেখতে এসেছি আমরা। নিউইয়র্ক সিটিকে ভালোবাসি। এখন টেলিভিশনকে ধন্যবাদ।’

উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় ভাস্কর্যের গৌরবও দখল করে আছে মনোমুগ্ধকর এই স্থাপনাটি। অবাক করা বিষয় হলো বাতাসের বেগ বেশি হলে এই স্ট্যাচুটি ৩ ইঞ্চি ও এর মশাল ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত দুলতেও পারে।

হাডসন নদীকে বলা হয় নিউইয়র্কের প্রাণ। এটি মূলত নিউইয়র্ক এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এবং কিছু অংশ নিউজার্সি ও নিউইয়র্কের বিভেদকারী অঞ্চল। হেনরি হাডসন ১৬০৯ সালে এই নদীর সন্ধান পান। পর্যটকদের কাছে এর তীর যেন রূপ লাবণ্যের ধারকবাহক।

নিউইয়র্কে গেলে একবার ব্রুকলিন ব্রিজে যেতেই হবে, এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। না গেলে যে ষোলকলা পূর্ণ হবে না। ১ হাজার ৮২৫ মিটার দীর্ঘ এ সেতু। তার ওপর দিয়ে হেঁটে গেলে পুরো নিউইয়র্কটাই যেন ভেসে ওঠে চোখের সামনে। ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ইস্ট রিভার। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আর ব্রুকলিনকে সেতুর মাধ্যমে মিলিয়ে দিয়েছে ব্রুকলিন ব্রিজ। কী দিন- কী রাত, ছবি তুলতে এই ব্রিজের ওপর বা নিচের যেকোনো অংশেরই জুড়ি মেলা ভার।

দর্শনার্থীরা জানান, রাতে ব্রুকলিন ব্রিজ অন্য রকম সুন্দর। এটা বিশেষ ব্রিজ। দেখুন আলো, আর ভবনগুলো। অসাধারণ। দারুণ রাত। দেখুন আলোর প্রতিফলন হচ্ছে পানিতে।

নিউইয়র্ক সিটিতে চলাফেরার জন্য জনপ্রিয় বাহন হচ্ছে সাবওয়ে বা মেট্রোরেল। মাকড়সার জালের মতো বিস্তৃত ও ঘড়ির কাঁটা ধরে পরিচালিত এই পরিবহন ব্যবস্থা গণমানুষের সবার।

যেতে যেতে এরপরের গন্তব্য টাইমস স্কয়ার। যা কখনো ঘুমায় না। নিউইয়র্ক শহরের মিডটাউন ম্যানহাটনে অবস্থিত একটি সড়ক চত্বর। এটি শহরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা, দর্শনীয় স্থান ও বিনোদন কেন্দ্র। এটি ব্রডওয়ে, সেভেনথ অ্যাভিনিউ ও ফর্টি-সেকেন্ড স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। আলো আর, দাদাল কোঠার রূপে এই স্থানটি দুনিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।

দর্শনার্থীরা জানায়, অনেক মানুষ এখানে। দেখুন কত মানুষ এখানে। সবাই আনন্দ করছেন।

ইএ