স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক ছাদের নিচে জড়ো হয়েছিল দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
চলতি বছর এ মেলায় অংশ নেয় ১০টির বেশি দেশ। বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এতে দ্বিতীয়বার। উপস্থিত ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও দর্শনার্থীদের মাঝে দেশীয় চারটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে তুলে ধরে নিজ নিজ পণ্য। বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পে শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাকের পাশাপাশি পসরা বসেছিল আরও নানা ধরনের পণ্যের। বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দ্বার সম্প্রসারণ ছিল বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল লক্ষ্য।
বাংলাদেশে নবম শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ মালয়েশিয়ার বাজার ধরার পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও রপ্তানি লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাই বাংলাদেশি পণ্যের প্রচার ও সম্ভাবনার বিকাশে এমন মেলা গুরুত্বপূর্ণ, মত মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনারের।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, ‘দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পণ্য জনপ্রিয় করার জন্য যেকোনো সহযোগিতা আমরা প্রদান করবো। এ মেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য স্বাগতিক দেশ মালয়েশিয়ার কাছে আরও পরিচিতি পাবে।’
তিন দিনের মেলার শেষদিনে বাংলাদেশি স্টল পরিদর্শন করেন হাইকমিশনার। এসময় বিদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নানা সম্ভাবনাময় দিক তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে আগ্রহী ছিলেন দর্শনার্থীরাও।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, ‘মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশি সম্ভাবনাময় পণ্য বিশেষ করে মেশিনারিজমও প্লাস্টিকের পণ্য যেগুলো আছে সেগুলো বিদেশিদের কাছে, পটেনশিয়াল ইনভেস্টরদের কাছে তুলে ধরার জন্য এটি একটি বড় ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে প্রায় ৩শ' কোটি ডলার। তবে রপ্তানির তুলনায় বাংলাদেশের আমদানি প্রায় ১০ গুণ বেশি।