মধ্যপ্রাচ্যের বেশ আকর্ষণীয় ও পর্যটক নির্ভর স্বর্ণের বাজার দুবাই। করোনা পরবর্তী সময়ে এ বাজারে বেশ ভালো ব্যবসাও করেছেন বাংলাদেশিরা।
২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই বাজার ঘিরে স্বল্প ও মাঝারি পরিসরে প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেই সময় টিটি বার ও তৈরি স্বর্ণ বহন করে অনেক ভ্রমণকারীও আর্থিক লাভবান হয়েছেন।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিত ও ঘন ঘন দাম পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে স্বর্ণের বাজারে।
এমন পরিস্থিতিতেও সেখানে এই ব্যবসায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তারা, বিনিয়োগ করছেন স্বর্ণের দোকানে। তৈরি স্বর্ণের খুচরা বেচাকেনার পাশাপাশি পাইকারি ও ট্রেডিং ব্যবসায়ও নাম তুলছেন অনেকে।
আরো পড়ুন:
দুবাই তাহুরা জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল উদ্দিন বলেন, ‘যেকোনো ব্যবসা করার জন্য প্রথম আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়া সহজ হবে।’
লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে বর্তমান পরিস্থিতিতেও এ ব্যবসায় ঝুঁকি নেয়াকে সাহসী পদক্ষেপ বলছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতারা। তারা মনে করছেন, বাজার পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের জন্য স্বর্ণ আনা-নেয়ার নীতিমালা শিথিল করলে স্বর্ণের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
দুবাই বাংলাদেশ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব সৈনিক বলেন, ‘বাংলাদেশের ট্যাক্স নিয়ে স্বর্ণ আরো নেয়ার জন্য দেয়া হলে কালোবাজারিরা অবৈধ ব্যবসা করতে পারবে না।’
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দামের অস্থিরতা কেটে গেলে আবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের ভারত ও বাংলাদেশ কেন্দ্রিক ব্যবসার পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতা টানারও আহবান সংশ্লিষ্টদের।