এখন টেলিভিশনকে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পিএলও ও পিএ যদি শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশীদার হতে চায়, তাহলে তাদের অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক অবস্থান নিতে হবে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের নৃশংস হামলার নিন্দা করা জরুরি। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনের শিক্ষা ব্যবস্থায় সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়ার মতো পাঠ্যবই ও পাঠ্যসূচি বাতিল করতে হবে, যা মার্কিন আইন অনুযায়ী আবশ্যক এবং যা পূর্বে পিএলও কর্তৃক প্রতিশ্রুত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পিএ যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একতরফাভাবে মামলা করে কিংবা কাল্পনিক একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালায়, তাহলে তা সরাসরি শান্তিপূর্ণ আলোচনা প্রক্রিয়ার ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এ ধরনের তৎপরতা হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ার সাহস জুগিয়েছে এবং গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনার ব্যর্থতায় ভূমিকা রেখেছে। তবে জাতিসংঘ সদর দপ্তর চুক্তির অধীনে নিউইয়র্কে অবস্থিত পিএ-র স্থায়ী মিশন ভিসা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাবে, কারণ এটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতার অংশ।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি পিএ ও পিএলও সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যান করে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য বাস্তব ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত শুধু মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ওপর নয়, বরং আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পরিবেশেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।