লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ও বাস্তবতা শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এসময় সত্যের সন্ধানে অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের তথ্য শ্রমিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তা, মালিকপক্ষের একচেটিয়া প্রভাব, স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন বলেন, ‘সকল সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের মানুষের কাছে এ রিপোর্ট প্রশংসিত হয়েছে। এখন এটি কার্যকর করার দায়িত্ব রাজনৈতিক সরকারের। সরকারের দুটি দায়িত্ব আছে, এক সরকার হিসেবে দুই রাজনৈতিক কামিন্টমেন্ট পালনের ক্ষেত্রে।’
সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমদ বলেন, ‘এখন বিদ্যমান সংকটকে কাটিয়ে উঠতে হবে। আমাদের সংবাদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিবিসি বাংলার সাবেক সম্পাদক কামাল আহমদ জানান, দেশের আটটি বিভাগীয় শহর, নগর ও জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিক, মালিক, অ্যাকাডেমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ১ হাজার ৪০০ জনের মতামত নিয়ে এ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা নিয়ে যেন কোনো হুমকি, হামলা, মামলান শিকার হতে না হয় সেকারণে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রয়োজন।’
আয়োজকরা জানান, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে দেশ বিদেশে আরও জোরালো মত গঠন করার উদ্দেশ্যেই এ আয়োজন। ভবিষ্যতে যে কোনো নির্বাচিত সরকার এ রিপোর্ট বাস্তবায়ন করবে এমনটা প্রত্যাশা তাদের।
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ‘আগামীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, সে সরকার এ গণমাধ্যম সংস্কার রিপোর্ট যেন বাস্তবায়ন করে। এটি আমরা আশা করি।’
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ বলেন, ‘এ সুপারিশগুলো যেন মিডিয়া তুলে ধরে। এটি একটি ইমপ্যাক্ট রাখবে আমাদের মিডিয়া অঙ্গনে।’
ক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়েরের সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ১৮২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।