গতকাল (বুধবার, ৩০ জুলাই) বিটিআরসি জানায়, আগামী ১ আগস্ট থেকে অতিরিক্ত সিম বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে গ্রাহকদের তিন মাস সময় দেয়া হবে যেন তারা নিজ উদ্যোগে অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করতে পারেন। প্রতিটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত এরইমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, চলতি প্রক্রিয়ায় ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর প্রায় ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনায় পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগবে।
বর্তমানে বিটিআরসির তথ্যানুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে ৮০.৩২% ব্যবহারকারীর নামে পাঁচটি বা তার কম সিম আছে, ১৬.২৩% এর ছয় থেকে ১০টি সিম রয়েছে,আর মাত্র ৩.৪৫% গ্রাহকের রয়েছে ১১ থেকে ১৫টি সিম।
যাদের ১০টির বেশি সিম আছে, তাদের নামের তালিকা তৈরি করে মোবাইল অপারেটররা পর্যায়ক্রমে এসএমএস পাঠাবে এবং সিম কমাতে অনুরোধ জানাবে। পাশাপাশি অপারেটরদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রচার চালানো হবে।
সিম সংখ্যা জানতে *১৬০০১# ডায়াল করে এনআইডি এর বিপরীতে নিবন্ধিত সিম সংখ্যা ও নম্বর জানা যাবে। অতিরিক্ত সিম থাকলে গ্রাহক ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ এর মাধ্যমে তা অন্যের নামে রেজিস্টার করতে পারবেন।