ছবিকে সুন্দর আর আকর্ষণীয় করতে নানারকম সম্পাদনার কাজ করতে হয়। সম্পাদনার কাজে যে সফটওয়্যার দুনিয়াজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় তাহলো অ্যাডোবি ফটোশপ। ১৯৮৭ সালে এটি ডেভেলপ করেন থমাস ও জন নল নামের দুই আমেরিকান ভাই। এর পরের বছরই ১৯৮৮ সাল থেকে অ্যাডোবি সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড এটি বাজারজাত করার সনদ গ্রহণ করে এবং ১৯৯০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এর প্রথম সংস্করণ বাজারে আনে।
বাজারে আসার পর থেকেই বিক্রি ক্রমেই বাড়ছিল এই সফটওয়ারের। ৯০ এর দশকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের প্রসার অ্যাডোবি ফটোশপকে নিয়ে যায় এক অনন্য উচ্চতায়। একই সময়ে এই সফটওয়ারটি ‘কিলার অ্যাপ’ তকমা পায়। কারণ এই সফটওয়ারকে কেন্দ্র করে সেই সময় কম্পিউটার বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল। এর ব্যবহার পরিধি বিভিন্ন নকশা তৈরি ও ছবি সম্পাদনা ছাপিয়ে চিকিৎসা, যন্ত্রকৌশল ও স্থাপত্য নকশাতেও বিস্তার লাভ করেছিল।
আর ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও ডিজিটাল ফটোগ্রাফির অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে ফটোশপের চাহিদাও বাড়ছিল। ফলে প্রতিনিয়তই এর নতুন ও আধুনিক সংস্করণও আসছিল। ১৯৯৫ সালের ৩১ মার্চ অ্যাডোবি সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড ৩৪.৫ মিলিয়ন ডলারে থমাস ও জন নীল ভাতৃদ্বয়ের কাছ থেকে এই সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণরূপে কিনে নেয়।
২০০৩ সালে অ্যাডোবি ফটোশপকে এর অষ্টম সংস্করণ থেকে অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ স্টুডিওতে ইলাস্টে্রটর, ইনডিজাইন ও এক্রোব্যাটের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে অ্যাডোবি স্টুডিওতে ফটোশপ, ইলাসট্রেটর, ইনডিজাইন ও এক্রোব্যাটের পাশাপাশি লাইটরুম, আফটার ইফেক্টস, প্রিমিয়ার প্রো, স্টক, রাশসহ ফায়ারফ্লাই ও জেনারেটিভ ফীল নামে এআই প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে ২০০৭ সাল থেকেই মূলত হালের রূপে অ্যাডোবি ফটোশপের যাত্রা।
সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়েছে ২০২৩ সালে এসে। তাও প্রায় দুই বছর ওয়েবে বেটা ভার্সন চালানোর পর। যদিও এক্ষেত্রে রাখা হয়েছে বিভিন্নরকম সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি। বিনামূল্যে কিংবা প্রিমিয়াম ভার্সন না রেখে সকল শ্রেণীর ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে সাবস্ক্রিপশন ফী নির্ধারণ করা হয়েছে ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য মাসিক ২১ ডলার, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ২০ ডলার এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য মাসিক ৮৫ ডলার।