স্মার্টফোন যেন আধুনিক জীবনের অপরিহার্যতা। যার অতিরিক্ত ব্যবহারে বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবারই দীর্ঘসময় কাটছে স্মার্টফোনে। যা অনেকটাই রূপ নিয়েছে আসক্তিতে।

স্মার্টফোন ব্যবহারে শীর্ষ ৫ দেশ। ছবি: এখন টিভি
স্মার্টফোন ব্যবহারে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। ৩৯ শতাংশ কিশোর-কিশোরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার কমিয়েছে। অন্যদিকে, ২৭ শতাংশ ব্যবহার বাড়িয়েছে অতিমাত্রায়। কারও মতে স্মার্টফোন সামাজিক জীবনকে জটিল করছে। আবার কারও মতামত, এটি সামাজিকতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে এই জরিপ করেছে পিউ গবেষণা কেন্দ্র।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, স্মার্টফোন ছাড়া কিশোর-কিশোরীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মানসিক চাপ অনুভব করছে। বিক্ষিপ্ত চিন্তা ও অসহায়ত্ব অনুভব ছাড়াও কাজ করছে নানা ধরনের হতাশা।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে নীতিনির্ধারকদের চাপের মধ্যে এমন ফলাফল উঠে এলো। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ফ্লোরিডা রাজ্যে অনলাইনে শিশুদের মানসিকতায় ক্ষতিকারক কনটেন্ট কমাতে আইন পাস হয়েছে।
সম্প্রতি, অনলাইন হার্মস অ্যাক্ট পাশ করে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে নিয়মনীতির মধ্যে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা। যার মাধ্যমে শিশুদের জন্য সুরক্ষিত মাধ্যম, নিরাপদ অনুসন্ধান ও অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।