মার্কিন শুল্কের কারণে কানাডার চাকরির বাজারে এখন মন্দার হাওয়া। নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি তো হচ্ছেই না, বরং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে ছাঁটাই। এতে বেকারত্বের হার গিয়ে ঠেকেছে ৭ শতাংশে। আরও শঙ্কার তথ্য, ২৫ বছরের নিচে তরুণদের বেকারত্বের হার প্রায় ১৫ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, বাণিজ্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অনেক অগ্রগতি এসেছে। তাই আগামী দিনগুলো নিয়ে কিছুটা আশাবাদী তিনি।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘কানাডা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেরা বাণিজ্য সমঝোতায় আছে। যদিও আগের মতো এটা নয়, তবে অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভালো।’
এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বছর শেষে এক লাখ ৬০ হাজার কর্মজীবীদের চাকরিচ্যুত হওয়ার শঙ্কা করছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে ৫০ হাজারের মতো মানুষ বেকার হয়েছেন। গেলো কয়েক মাসে এই হার সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন:
কানাডা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ আরিফ নিজামী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, যেন আমরা এমন কোনো ক্যারিয়ারের দিকে যাই, যেখানে আমাদের জবটা সিকিউরড থাকে এবং স্কিল বাড়াতে ও আপগ্রেড করতে হবে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) কারণেও চাকরির বাজার সংকুচিত হচ্ছে। আগামীদিনগুলোতে এর প্রভাবেও চাকরিপ্রত্যাশীদের ভুগতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরিফ নিজামী বলেন, ‘আগে একটা কাজ করতে ৫ জন লাগতো, এখন সেই কাজ করতে দু’জন লাগবে। এআইয়ের কারণে কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই, এখন না হলেও আগামী এক-দুই বছর পর অনেকেই চাকরি হারাবেন।’
অর্থনৈতিক মন্দা সামলাতে বর্তমানে মার্কিন মুলুক থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর থেকে অনেক প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করছে অটোয়া। পাশাপাশি নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপ করা ডিজিটাল পরিষেবার ওপর প্রস্তাবিত কর থেকে সরে এসেছে কানাডা। ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে মার্ক কার্নি প্রশাসন সুর নরম করে এগিয়ে যাচ্ছে বলে এরই মধ্যে অভিযোগও তুলেছে কানাডা বিরোধীদল।