বেলজিয়ামে ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে ইস্টার এগের ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী

ইস্টার এগের প্রদর্শনী
বিদেশে এখন
0

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইস্টার এগের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। রং বেরঙের নকশায় সাজানো এসব ইস্টার এগ বানানোর হচ্ছে চকলেট দিয়ে, যার পুরোটাই খেয়ে ফেলা সম্ভব। চিক ব্রাসেলস হোটেলে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

দেখে মনে হতে পারে বিশ্বনন্দিত কোনো শিল্পীর ভাস্কর্যের প্রদর্শনী এটি। ডিমের আদলে নির্মিত প্রতিটি স্ট্রাকচারের নিহিত স্থাপত্যকলার শৈলী।

যিশুর পুনরুজ্জীবন উৎসব হিসেবে ইস্টার পালিত হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। ইস্টারের দিনে চকলেট দিয়ে বানানো ডিম উপহার হিসেবে দেয়ার প্রথাও আছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে।

আগামী ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডে- ২০২৫ উপলক্ষ্যে ইস্টার এগ নিয়ে অভিনব এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে চিক ব্রাসেলস হোটেলে।

আয়োজকদের মধ্যে একজন বলেন, 'এবারের প্রদর্শনীর থিম আর্ট ডেকো। আমরা ব্রাসেলসে আছি। আর্ট ডেকোর রাজধানীতে আছি বলতে পারেন। এই থিম ব্যবহার করেই কাজ করেছি।'

বেলজিয়ামের স্বনামধন্য ৩৫ জন চকলেট নির্মাতা এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। আর্ট ডেকো থিমের এই প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ইস্টার এগে বসানো হয়েছে তিরিশের দশকের জনপ্রিয় জ্যামিতিক আকার, নকশা ও উজ্জ্বল রং।

আয়োজকদের মধ্যে আরেকজন বলেন, 'খুশির উৎসব মানেই চকলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার। এগুলোর সাহায্যে আপনি আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রদর্শনীতে অংশ নিলাম। অনেকেই আমাদের দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।'

আয়োজকরা বলছেন এবারের প্রদর্শনীতে প্রতিটি ইস্টার এগের আকার ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার। বেলজিয়ামের বিখ্যাত স্থপতি ভিক্টর হোরতার উদ্যোগে শুরু হওয়া আর্ট ডেকো মুভমেন্টের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এমন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অংশগ্রহণকারীরা জানান, প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ইস্টার এগ কিনতে গুনতে হবে সাড়ে ৮০০ মার্কিন ডলার। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দান করা হবে ব্রাসেলসের সেইন্ট পিয়ের হাসপাতালে।

এসএইচ