একদিকে মার্ক কার্নি, অন্যদিকে পিয়েরে পলিয়েভ। কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? কানাডিয়ানরা কাকে বেছে নিচ্ছেন তাদের নেতা হিসেবে? এর উত্তর পাওয়া যাবে মঙ্গলবারের মধ্যে। শেষদিন জনসভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রীতিমতো একহাত নেন লিবারেল প্রার্থী কার্নি। তিনি বলেন, ‘শুধু কানাডার অর্থনীতি নয়, পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।’
কানাডার বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘তারা আমাদের দেশ চায়। আমাদের উত্তর হলো, কানাডা আমেরিকা নয়।’
আরেকজন বলেন, ‘এটা সত্য যে ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি কানাডার সঙ্গেই শুধু নয়, বিশ্ব অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের পুরোনো সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতেও আমেরিকার নেতৃত্ব শেষ হয়ে গেছে।’
অন্যদিকে, পিয়ের পলিয়েভ তেমন শক্ত কথা বলেননি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি অনেকটা ট্রাম্পের মতোই অভিবাসনবিরোধী। এতে জনপ্রিয়তায় ভাটাও পড়েছে তার। তবু লিবারেলের সঙ্গে কনজারভেটিভের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে, এমনটাই মনে করছেন অনেক কট্টর সমর্থক।
জরিপ বলছে, কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে মোট ৩৪৩ আসনের মধ্যে লিবারেল পার্টি ১৮২টি আসন পেতে পারে। এককভাবে সরকার গঠনে চাই ১৭২ আসন। সে অর্থে মার্ক কার্নি সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। আর কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ১৩০টির মতো আসন।
অন্যদিকে, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করতে যাচ্ছে, মাত্র ৪টি আসন পেতে পারে এবং ব্লক কিউবেকোয়া ২৩টি আসনে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস।