এ যেন বইপোঁকাদের আড্ডাখানা। স্টলে স্টলে সাজানো শত শত বই। ক্রেতারা আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের পছন্দের বই। এক ছাদের নিচেই পাওয়া যাচ্ছে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য লেখকের বই। বলছি ওমানে আয়োজিত মাস্কট আন্তর্জাতিক বইমেলার কথা। তেসরা মে মেলা শেষ হয়ে গেলেও যেন এর রেশ রয়ে গেছে এখনও।
২০২৫ সালের এই বইমেলার থিম সংস্কৃতির বৈচিত্র্য কিভাবে সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করে। এখানে লাতিন আমেরিকা থেকেও বইপ্রেমীরা এসেছেন। সন্তানদের সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে আগ্রহ বেশ।
মাস্কটের এই মেলা যেন পরিণত হয়েছিলো দেশ বিদেশের অতিথিদের মিলনমেলায়। আয়োজন করা হয় সভা - সেমিনারের। ২৯ তম এই বইমেলায় তুলে ধরা হয় দেশের নানা ইতিহাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল থেকে আসা দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখেন পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ, কেনেন পছন্দের বই। মেলায় বইপ্রেমীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে ফিলিস্তিনের ইতিহাস।
এখানে আমরা ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক, ভৌগোলিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছি বইতে। গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের কথাও বলে এসব বই। চলতি বছরে এসেছে নতুন সংস্করণ। নাম 'ইন রেড' আর 'জিরো লাইন'। গাজা উপত্যকার লেখকদের স্মৃতি এখানে।
এই প্রদর্শনীর বিশেষত্ব, বেশ আকর্ষণীয় উপায়ে তৈরি হয়েছে মাস্কটের এই মেলা প্রাঙ্গণ। এখানে মানচিত্র আছে সব দেশের। কম-বেশি সব দেশের বইয়ের প্লাটফর্ম এটি। ওমানের পাশাপাশি গালফভুক্ত অন্যান্য সদস্য দেশের ইতিহাস সম্পর্কেও দর্শনার্থীরা জানতে পেরেছেন এক ছাদের নিচেই।
অনেক সংস্কৃতি আর সভ্যতার মিলনায়তনে পরিণত হয়েছে এই মেলা। সবাই এখানে অনেক জানে আর অনেক শিক্ষিত। এখানে প্রথম এসেছি। সত্যি এই প্রদর্শনী খুব সুন্দর।
বিশ্বের ৩৫ টি দেশ থেকে এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ৬শ' ৭৪ জন প্রকাশক। মেলায় আনা হয়েছে কয়েক লাখ বই, যার মধ্যে ৫৫ হাজারই নতুন। প্রতি বছরই মাস্কট বই মেলা আন্তর্জাতিক লেখক, প্রকাশক আর দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। একই ছাদের নিচে ওমানসহ গাল্ফভুক্ত দেশগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ।