বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতভর পাকিস্তানের অর্ধশতাধিক ড্রোন হামলায় হামলা ঠেকাতে ব্যস্ত ছিল ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সফলভাবে হামলা প্রতিহতের দাবি করা হলেও জনগণের সুরক্ষায় সীমান্তবর্তী ৪ রাজ্য এবং ২ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লিতে জারি করা হয় উচ্চ সতর্কতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, হামলার পরপরই দফায় দফায় বৈঠক করেন ভারত সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি জরুরি সেবা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনাও দেয়া হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতে ডজন খানেক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজস্থান ও দিল্লিতে বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি। পাঞ্জাব, জম্মু কাশ্মীর ও লেহ এর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার। যদিও সীমান্তে থেমে নেই সেনাদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী সাম্বা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ চেষ্টা আটকে দেয়ার দাবি বিএসএফের।
অনিয়ন্ত্রিত প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভারত আঞ্চলিক অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ৩টি ফাইটার জেট ভূপাতিতের তথ্যকে ভুয়া সংবাদ হিসেবে দাবি করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
বৃহস্পতিবার রাতভর হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত ছিল নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই প্রান্ত। যুদ্ধবিমান, মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারির মাধ্যমে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। এসময় ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোয় মিসাইল ও যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবিও করা হয়।
রাতভর আতঙ্ক আর উত্তেজনার মধ্যেই ১৫টি এলাকায় হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদ। দাবি করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কল্পকাহিনী ফেঁদেছে ভারত এবং পাকিস্তানের ভাবমূর্তি নষ্টে বেপরোয়া মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।