অর্থনীতির টানাপোড়নের মধ্যে আরও একটি ঈদ উদযাপন করলো কানাডাবাসী। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রদেশের ঈদ জামাতগুলোতে বাংলাদেশিসহ নানান দেশের মুসলিমরা অংশ নেন। ত্যাগের মহিমায় জীবন চলার দিক নির্দেশনা ছিল নামাজ পূর্ববর্তী আলোচনায়।
নামাজ শেষে ইমাম বলেন, ‘আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া করি। পৃথিবীর সবার জন্য দোয়া করবো। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য আমরা দোয়া করবো।’
কানাডা প্রবাসী একজন বাঙালি বলেন, ‘আমরা চতুর্থ ব্যাচে ঈদের নামাজ পড়তে সমর্থ হয়েছি। কানাডাবাসী এবং বিশ্ববাসী সবার জন্য দোয়া করছি।’
আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ঈদের জামাত মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোর পাশাপাশি ঈদগাহে বড় পরিসরে হয়। গেলো কয়েকদিনে টরেন্টোসহ আরও কয়েকটি স্থানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব স্পষ্টতই পড়তে শুরু করেছে জনজীবনে। ইতোমধ্যে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। খুব দ্রুতই সংকট কেটে যাওয়ার প্রত্যাশা অভিবাসীদের।
তারা জানান, অর্থনৈতিক অবস্থা খুব অস্থিতিশীল। জিনিসপত্রের দাম এদিক সেদিক হচ্ছে। অনেক কোম্পানি চাকরীচ্যুত করছে।
ঈদের পরদিন থেকে দুইদিনের সরকারি ছুটি থাকায় এবার অনেকে যাচ্ছেন দূর-দূরান্তে ঘুরতে। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন কাছে-দূরের গন্তব্যে। যাদের নিজস্ব বাহন নেই তারা গাড়ি ভাড়া করেছেন। তবে চাপ বেশি থাকায় গুনতে হয়েছে বাড়তি অর্থ।
এ দেশে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা অন্টারিও প্রদেশে, এরপর কুইবেকে। ঈদ উৎসব এলে তাই এই দুই প্রদেশের অর্থনীতিকেও স্পর্শ করে অনেকটা। কারণ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা তাদের অর্থ নানা খাতে ব্যয় করেন। তবে এবার ব্যয় সংকোচন করেছে অনেক পরিবারই।