পাকিস্তানের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ১০ জুন

পাকিস্তানের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ১০ জুন
বিদেশে এখন
0

সাড়ে ৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি এবং ৪ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ১০ জুন বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। আইএমএফের অর্ধশত শর্তের কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। যদিও প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে ১৮ শতাংশ।

পাকিস্তান ও আইএমএফ দু’টি শব্দ যেন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ৭৮ বছরের ইতিহাসে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে ২৪ বার। গেলো মাসে সবশেষ বেইল আউটে ইসলামাবাদের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে ৫০টি শর্ত।

এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে শেহবাজ শরীফ সরকার। যেখানে সাড়ে ৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ও ৪ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল।

এআরওয়াই নিউজের সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৯০ হাজার কোটি রুপি কম। আইএমএফের শর্ত মেনে চলতেই কমানো হচ্ছে বাজেটের আকার। 

এছাড়াও ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়গুলোর জন্য নতুন গাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। পাশাপাশি বেধে দেয়া হতে পারে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যয় সীমা।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১১ কোটি মানুষের বাস দারিদ্র্যসীমার নিচে। বর্তমান সরকার চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাসের মতো পণ্যে ভর্তুকি দিলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। 

আইএমএফের অর্ধশত শর্তের কারণে প্রত্যাহার করতে হবে ভর্তুকি। তাই বিপুল এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বস্তি আনতে পারছে না বাজেট।

পাকিস্তানি নাগরিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এবার জনবান্ধব বাজেট পাবার আশা করতে পারছি না। জনসাধারণের জন্য কঠিন বাজেট হতে যাচ্ছে। যদিও বাজারের দিক থেকে বাজেট ঠিক হতে পারে।’

আরেকজন বলেন, ‘বাজেটে জনসাধারণের জন্য স্বস্তি দেয়া উচিত। মূল্যস্ফীতির কারণে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের পরিস্থিতি খুবই করুণ।’

পাকিস্তানের ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আজমল বেলুচ বলেন, ‘সরকার যদি জনগণের জন্য সত্যিই কিছু করতে চায়, সেক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আয় বাড়ানো উচিত। এটি না করেই সরকার যদি ঋণ নিতে থাকে, সেক্ষেত্রে যারা কর দিচ্ছেন, তাদের রক্ত শুষে আরো কর আদায় করতে হবে।’

এদিকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ১৮ শতাংশ বাড়িয়ে আড়াই লাখ কোটি রুপি করা হতে পারে।

এসএইচ