বুধবার পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম দফায় আলোচনা ব্যর্থ হবার পরই ২ শতাধিক ফাইটার জেট দিয়ে ইরান ভূ-খণ্ডে হামলা চালায় ইসরাইল। আক্রমণ করা হয় দেশটির সবচেয়ে বড় নাতাঞ্জ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ শতাধিক স্থাপনায়।
ইসরাইলের এ হামলার পর ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগে থেকে ইঙ্গিত পাওয়া স্বত্বেও কেন ইরান ইসরাইলি হামলা প্রতিহত করতে পারলো না? যদিও এর কোন সুনির্দিষ্ট জবাব মেলেনি তেহরানের পক্ষ থেকে।
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধানসহ সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যা করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে ৬ পরমাণু বিজ্ঞানীর প্রাণও কেড়ে নিয়েছে তারা। ইসরাইলের হাতে ইরানের বিজ্ঞানী হত্যা নতুন ঘটনা নয়।
এর আগেও ২০২০ সালে শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাফরিজাদেহকে রিমোট কন্ট্রোল বন্দুকের মাধ্যমে হত্যা করেছিলো তারা। এছাড়াও মাসুদ আলি, মোস্তাফা আহমেদি রোশান, মাজিদ শাহরিয়ারির মতো মেধাবী বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে ইসরাইল।
আরো পড়ুন:
কাতারের দোহার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরাইলের। কারণ, ইরান জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইসরাইলের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক।
যারা প্রতিনিয়ত ইরানের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তি ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য পাচার করছে ইসরাইলের কাছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সহায়তায় ইরানের ভেতরকার সব তথ্যই পৌঁছে যাচ্ছে ইসরাইলের কাছে।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর মৃত্যুর পরও প্রশ্ন উঠেছিলো ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও তেহরানেই ইসরাইলের গুপ্ত হত্যায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী সাবেক হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। এসব দেখেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, গোটা ইরানের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তেল আবিবের।