রুশ এয়ারফিল্ড লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন

বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলা
বিদেশে এখন
0

বন্দরনগরী ওডেসায় হামলার জবাবে ক্রিমিয়ায় রুশ এয়ারফিল্ড লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভ সেনাদের দাবি, হামলায় রাশিয়ার বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টারসহ ধ্বংস হয়ে গেছে অঞ্চলটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর ইউক্রেনের কৌশলগত অঞ্চল দখলে সেনা উপস্থিতি বাড়াতে শুরু করেছে রাশিয়া।

এদিকে, ক্ষমতার পালাবদল হলেও চলমান সংঘাতে পোল্যান্ড ইউক্রেনের পাশে থাকবে বলে জেলেনস্কিকে আশ্বাস দিয়েছেন বিদায়ী পোলিস প্রেসিডেন্ট। আর হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ন্যাটো ইউক্রেনকে জোটের সদস্য বানালে ঠেকানো যাবে না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

শুক্রবার ভোররাতে ওডেসা বন্দরের পর ইউক্রেনের একটি সামরিক এয়ারফিল্ডে হাইপারসনিক কিঞ্জাল মিসাইল দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। এর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই রুশ এয়ারফিল্ডে পাল্টা আঘাত হেনেছে ইউক্রেন।

শনিবারের (২৮ জুন) ড্রোন হামলায় ক্রিমিয়ার ঐ এয়ার ফিল্ডে রাখা রাশিয়ার ৪টি এসইউ-থার্টি ফোর যুদ্ধবিমান ও বেশ কয়েকটি কপ্টার ধ্বংসের দাবি করছে কিয়েভ। আরো বলা হচ্ছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাত ঠেকাতে বিকল হয়ে গেছে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যানসির-এস ওয়ান।

আর, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে একের পর এক কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়া। কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের জন্য অঞ্চলটিতে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার সেনা জড়ো করেছে তারা। শুক্রবার দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, যেসব এলাকায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হচ্ছে তারমধ্যে পোকরোভস্কের ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কিয়েভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি বলছেন, যেহেতু রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি শহরের আংশিক দখল নিয়েছে, তাই কৌশলগত কারণেই মস্কোর নজর এখন পোকরোভস্কের ওপর।

আরো পড়ুন:

এদিকে, বিদায়ী পোলিস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদাকে অর্ডার অব লিবার্টি সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের সঙ্গে ৫২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রাষ্ট্রীয় সীমানা ভাগাভাগি করা পোল্যান্ড এখনও পর্যন্ত ১০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

দায়িত্ব ছাড়ার আগে জেলেনস্কির ঘোর সমর্থক হিসেবে পরিচিত আন্দ্রেজ দুদা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমতা বদল হলেও ওয়ারশকে পাশে পাবে কিয়েভ। রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অক্ষুন্ম রাখার অঙ্গীকার জেলেনস্কির।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচররা। রাশিয়ার উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিকের বরাতে আরটি বলছে, কিয়েভকে সহায়তা দেয়ার নামে মস্কোর বিরুদ্ধে শতবর্ষ পুরোনো যুদ্ধের সূচনা করতে চায় পশ্চিমা বিশ্ব।

জাতিসংঘে রাশিয়ার প্রতিনিধি দাবি করেছেন, বহু আগেই জেলেনস্কির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটেছে। কিয়েভবাসীকে দেয়া কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারেননি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। আর হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের হুঁশিয়ারি, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্য পদ দিলে বেধে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

সেজু