ট্রাম্পের ব্যয় সংকোচন ও কর ছাড় বিল: এক দশকে বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ

প্রতীকী ছবি
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
বিদেশে এখন
1

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর ছাড়ের বিলটি আইনে পরিণত হলে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় ঋণের পরিমাণ আরও ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর্থিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আরও দাবি করছে, নতুন বিলের কারণে জাতীয় ঋণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে, বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবির বলছে, স্বাস্থ্যসেবার মতো নাগরিক সুবিধা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি, ধনী-গরীব বৈষম্য আরও বাড়বে এই বিল।

সরকারি ব্যয় কমানো ও কর ছাড়ের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে গেল মে মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাশ হয়। হোয়াইট হাউজ দাবি করছিল এ বিল আইনে পরিণত হলে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বার্ষিক ঘাটতি পূরণে সক্ষম হবে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও মার্কিন গণমাধ্যমের দাবি, বিতর্কিত এই বিলের কারণেই সরকারি সক্ষমতা বিভাগের উপদেষ্টার পদ থেকে সরে গেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।

প্রতিনিধি পরিষদের পর গেল শনিবার মার্কিন সিনেটে আলোচনার জন্য বিলটি তোলা হলে এর পক্ষে ভোট দেন ৫১ আইনপ্রণেতা, বিরোধিতা করেন ৪৯ জন। বিলের বিরোধিতা করাদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট ছাড়াও ছিলেন দুই রিপাবলিকান সিনেটর, থম থিলিস ও র‌্যান্ড পল।

একাধিক সংশোধনীর ভিত্তিতে সোমবার বিলটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে কংগ্রেসে পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত করার কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যদিও ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল নিয়ে আশঙ্কা জানিয়েছে নির্দলীয় পর্যবেক্ষণ ক দল কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস বা সিবিও। তাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, গেল মাসের সংস্করণের তুলনায় নতুন প্রস্তাবিত বিলে সরকারের ঋণ এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে ৮শ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। আর আগামী এক দশকে জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে ৩৬ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন ৮৫ লাখের বেশি মার্কিন নাগরিক। এছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ কাঠামো ধসে পড়া, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি ছাড়াও কর মওকুফের কারণে বাড়বে ধনী-গরীব বৈষম্যও। এখন পর্যন্ত বিতর্কিত এ বিলের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু নেতা।

মার্কিন গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, প্রস্তাবিত এই বিলের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা। প্রস্তাবনায় আরও আছে মেক্সিকো সীমান্তের অসম্পূর্ণ দেয়াল নির্মাণ আর অভিবাসী বিরোধী অভিযানের বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টিও। আর এই ব্যয় সামলাতে বরাদ্দ কমানো হবে জ্বালানি ও নাগরিক সেবা খাতে।

এএইচ