যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা অগ্রগতির বিপরীতে আরও তীব্র হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উত্তেজনা। ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পরও ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রুশ প্রেসিডেন্ট অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ।
শুক্রবারের রুশ হামলায় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে সংযোগকারী বিদ্যুৎ লাইন ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করছে ইউক্রেন। এ নিয়ে সামরিক সংঘাতের পর থেকে এখন পর্যন্ত নবমবারের মতো জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালালো রাশিয়া। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা-আইএইএ জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা বন্ধের পর জেনারেটরের উপর নির্ভর করে জরুরি ভিত্তিতে রাতে চালু করা হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথেও কথা বলেছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন ছিল। যৌথভাবে বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে আমরা একটি বৈঠকের আয়োজন করতে সম্মত হয়েছি।এ ব্যাপারে দুপক্ষের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যা আমাদের এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই প্রয়োজন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্প জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে কোনো অগ্রগতি হয়নি তার। এমনকি ফোনালাপের পরও ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ভয়াবহ আক্রমণে ক্ষিপ্ত তিনি। এখন কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট চিন্তিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞাগুলো নিয়ে আগেও অনেকবার কথা বলেছি। পুতিন এগুলো নিয়ে চিন্তিত নয়, কারণ সে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু সামনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে। পুতিনও এটি বুঝতে পেরেছে।’
উত্তেজনার পারদ বৃদ্ধির মধ্যে, শুক্রবার যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া- ইউক্রেন। ২৬ জুন তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে হওয়ার চুক্তির আওতায় কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে এই যুদ্ধবন্দি বিনিময় হলো। তবে এদিন কতজন বন্দি বিনিময় হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষ।