এ সিদ্ধান্ত আসে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়েরের প্রায় চার মাস পর।
ডব্লিউএইচও প্রধান জানান, পুতুলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ডা. ক্যাথারিনা বোহেম দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) তিনি নয়াদিল্লিতে এসইএআরও কার্যালয়ে যোগ দেবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও-র আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তবে তার মনোনয়নপ্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে এ পদে বসানো হয়েছে।
হেলথ পলিসি ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের শুরুতেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন।
বিশেষ করে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনারারি পদে থাকার দাবি করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। ফলে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারা অনুযায়ী, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, সায়মা ওয়াজেদ সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২৮ লাখ ডলার (প্রায় ৩০ কোটি টাকা) সংগ্রহ করেন। তবে এসব অর্থ কীভাবে ব্যয় হয়েছে, সে বিষয়ে মামলায় বিস্তারিত বিবরণ নেই।
অভিযোগগুলোর আওতায় পড়ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা অনুযায়ী প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অপরাধ।
দুদকের মামলার পর থেকে পুতুল কার্যত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সফর করতে পারছেন না। কারণ বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।