অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মস কন্ট্রোল ও ননপ্রোলিফারেশন ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি সহকারী সচিব অ্যান গ্যানজার বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বেসামরিক পরমাণু শক্তি নিয়ে আমাদের সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে এবং এটি ফার্স্ট প্রোগ্রামের আওতায় গড়ে ওঠা যৌথ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘এই চুক্তি আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে যে কোনো দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে অংশীদার হতে প্রস্তুত—যতক্ষণ না তা অস্ত্রায়ন বা প্রতিবেশীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিকে বিশ্বসেরা আখ্যায়িত করে বলেন, ‘শক্তি ছাড়া কোনো খাতই এগোতে পারে না, এবং এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মিত্র দেশগুলোর ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল জায়ানি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি নিয়ে এই সমঝোতা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করবে। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা থেকে আমরা উপকৃত হতে আগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তি পারমাণবিক ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার রোধে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
তিনি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাহরাইনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় করা প্রচেষ্টার প্রশংসা জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইসরায়েল-সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়েছে, তাই আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। শান্তি ফিরিয়ে আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য।’