রাইফেলের ম্যাগজিনে বুলেট ভর্তির কাজ শেষে করা হয় লক্ষ্যভেদ। ট্রিগারে আঙ্গুল চেপে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিশানায় ছোড়া হয় একের পর এক বুলেট, যা সম্পন্ন শেষে ইউক্রেনীয় সেনাদের পরীক্ষার ফল জানান প্রশিক্ষক।
রুশ সেনাদের মরণ কামড় দিতে সংকল্পবদ্ধ ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। তবে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল পুরনো আমলের অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের টালবাহানায় নতুন অস্ত্র সরবরাহে প্রতি মূহূর্তে যোগ হচ্ছিল নতুন অনিশ্চয়তা। এবার অনিশ্চয়তার অমানিশা কাটিয়ে পশ্চিমাদের আদলে নিজস্ব অস্ত্র তৈরি করে ফেললো কিয়েভ।
সোভিয়েত আমলের একে-৭৪ কালাশনিকভ রাইফেলকে প্রতিস্থাপন করছে ইউএআর-১৫। ৯৯ শতাংশ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেলটির ভর মাত্র ৩ কেজি, যা কালাশনিকভের চেয়েও ৬০০ গ্রাম কম। এতে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত এগোতে পারবেন সেনারা। প্রতিপক্ষের সেনাদের আগ্রাসন রুখে দেয়ার পাশাপাশি ধ্বংস করা যাবে ড্রোন।
সেনা সদস্যদের মধ্যে একজন জানান, দু’টি রাইফেলের মধ্যে ইউএআর-১৫ বহনে স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি এর লক্ষ্যও ভালো।
আরেক সেনাসদস্য বলেন, ‘রাশিয়ার ড্রোন মোকাবিলায় এ রাইফেলটি ভালো কাজ করছে। বর্তমানে আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরেকজন বলেন, ‘শুধু আমিই না, আমার দলের সবাই রাইফেল দু’টির পার্থক্য বুঝতে পারছে। এটি ব্যবহারে আশা করি সুফল পাবো।’
শুধু রাইফেলই নয়, ড্রোন খাতেও দেশিয় প্রযুক্তি ব্যবহারে সাফল্য পাচ্ছে ইউক্রেন। সম্প্রতি দেশটির একটি ড্রোন কারখানা পরিদর্শনে যান জেলেনস্কি। যেখানে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিন ১ হাজার ইন্টারসেপ্টর ড্রোন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাড়ানো হয়েছে সক্ষমতা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি কারখানার প্রতিনিধি এবং বাকি উৎপাদকদের সঙ্গে দেখা করেছি। তারা জানে আমাদের দৈনিক ১ হাজার ইন্টারসেপ্টর ড্রোন প্রয়োজন। যদি এর চেয়ে বেশি উৎপাদন সম্ভব হয়, তাহলে সেনারা উপকৃত হবে।’
চলতি মাসের শুরুতেই ড্রোন ইন্টারসেপ্টর প্রোগ্রামের জন্য ৬২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। এছাড়াও আগামী ৬ মাসের মধ্যে ‘মেড ইন ইউক্রেন’ অস্ত্রের ব্যবহার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা।