ইসরাইলি বর্বরতায় গাজা উপত্যকার নিরীহ ফিলিস্তিনিরা যেখানে দিনের পর দিন না খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার মানুষের কাছে ভারি বৃষ্টিপাত তুচ্ছ বিষয়। তাইতো বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে গাজায় যুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে বেড়িয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। জনসমুদ্রে রূপ নেয় সিডনির আইকনিক হারবার ব্রিজ এলাকা।
মিছিলে বয়স্ক থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের নিয়েও অনেক পরিবার হাজির হয়। বৃষ্টিতে ভিজে এতে সমর্থন দিতে ছুটে এসেছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও। ৬০ হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহণে হওয়া ইসরাইল বিরোধী এই বিক্ষোভে ছিলেন অনেক বাংলাদেশিও।
একযোগে মেলবোর্নেও হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। মানবতার এ যাত্রায় ক্ষুধার প্রতীক হিসেবে খালি হাঁড়ি-পাতিল বহন করেছেন অনেকে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা পাঠানো সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। গণহত্যা এবং নিরীহ মানুষের অনাহারে রাখা মেনে নেয়ার মতো না। আমি আশা করি আরও দেশ, বিশেষ করে আমাদের মিত্র দেশগুলো স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।’
শেষ অস্ট্রেলিয়ায় আমার মানবাধিকার এবং ভালো চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের জনগণের হাসপাতালগুলোতে বোমা হামলা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা সেবার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই আমি বিক্ষোভ মিছিলে এসেছি।
ইসরাইলি দখলদারিত্বের শিকার অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহরগুলোতেও গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। স্লোগানে স্লোগানে রামাল্লাহ এবং হেবরনে গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন:
এসময় তারা বলেন, ‘ক্ষুধা দূর করতে হবে। আমরা একবিংশ শতাব্দীতে আছি। এ যুগে এটি চলতে দিতে পারে না। বিশ্বকে আমাদের কথা শুনতে হবে। আমরা গাজার জনগণকে সমর্থন করতে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য দাঁড়িয়েছি। যেভাবেই হোক গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে যে রক্তপাত ও গণহত্যা চলছে তা বন্ধ করতে হবে।’
দুর্ভিক্ষের কারণে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯৩ জনই শিশু। এমনকি গুলি করেও ক্ষুধার্ত মানুষকে হত্যা করছে ইসরাইলি বাহিনী। যার কারণে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানে দেশে দেশে জোরালো হচ্ছে বিক্ষোভ।