গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর

বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু
বিদেশে এখন
0

গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখলের পরিকল্পনা নিয়েছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব উত্থাপন করবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রয়োজনের মাত্র ১৪ শতাংশ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে ইসরাইল সরকার। তাই প্রতিনিয়ত দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দিনভর ইসরাইলি হামলায় উপত্যকায় ৩৬ ত্রাণপ্রত্যাশীসহ ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ২৮ শিশুর প্রাণ ঝড়ছে।

গাজাবাসীর ওপর ইহুদিদের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে পশ্চিমারা। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে উপত্যকার সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা নিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

চ্যানেল টুয়েলভ, জেরুজালেম পোস্ট ও টাইমস অফ ইসরাইলের দাবি করছে, ইতোমধ্যে বিতর্কিত পরিকল্পনাটি পাস করাতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সমর্থন চেয়েছেন নেতানিয়াহু।

প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, হামাস অধ্যুষিত অঞ্চলসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে চালানো হবে সামরিক অভিযান। বর্তমানে গাজার ৭৫ শতাংশ অঞ্চল আইডিএফ নিয়ন্ত্রণে করছে। প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জানায়, যুদ্ধের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার কাছে সামরিক পরিকল্পনা উত্থাপন করবেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তিনটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যুদ্ধ করছি। শত্রুকে পরাজিত করা, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা আর গাজাকে ইসরাইলের নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত করা।

আরও পড়ুন:

আইডিএফ উদ্দেশ্যগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে, এ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার সামনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে এখনই উপত্যকাজুড়ে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। সোমবার দিনভর হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনাহার, অপুষ্টি ও ইসরাইলি গোলাবর্ষণে উপত্যকায় প্রতিদিন ২৮ শিশুর প্রাণ ঝড়ছে যা একটি শ্রেণীকক্ষের শিক্ষার্থীদের সমান। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় গাজার শিশুদের জন্য খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং নিরাপত্তা জরুরি। তবে তারচেয়েও বেশি জরুরি যুদ্ধবিরতি।

সেজু