সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তাই পিনাটকে নিয়ে গেল মৃত্যুর দুয়ারে

পিনাট
বিদেশে এখন
0

সোশ্যাল মিডিয়া নানা রকম মজার ভিডিওয়ের মাধ্যমে নেটিজেনদের হৃদয়ে আলাদা স্থান করে নিয়েছিল ‘পিনাট’। শুধু ইনস্টাগ্রামেই তার ফলোয়ার ছিল ৫ লক্ষেরও বেশি। তার কোন পোস্ট মাত্রই ভাইরাল। এ জনপ্রিয়তাই পিনাটকে নিয়ে গেল মৃত্যুর দুয়ারে। তবে এ পিনাট কোনও মানুষ নয়, ধূসর-কালো বর্ণের কাঠবিড়ালি।

বছর সাতেক আগে রাস্তার পাশে মায়ের মরদেহের পাশ থেকে ছোট্ট কাঠবিড়ালি ছানা উদ্ধার করেন মার্ক লঙ্গো। গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায় কাঠবিড়ালিটির মা। পরম মমতায় ছানাটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন মার্ক। নাম দেন পিনাট। অনেকবার প্রকৃতিতে অবমুক্ত করতে চেষ্টা করেন। তবে কাঠবিড়ালিটি পরদিন সকালেই তার কাছে ফিরে আসে।

বিষয়টি নজরে আসে নিউইয়র্ক অংগ রাজ্যের পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের। অভিযোগ পেয়ে পিনাটের মালিক মার্ক লঙ্গো-র বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ ছিল, কাঠবিড়ালিটির নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা নেই।

নিউইয়র্ক পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, কাঠবিড়ালি পিনাট-কে বেআইনিভাবে পোষা হচ্ছিল। সেই কারণেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর?

উদ্ধারের পর কাঠবিড়ালিটি এক সরকারি কর্মীকে কামড়ে দেয়। তার শরীর থেকে র‌্যাবিস ভাইরাস যাতে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না-পড়ে, সে কথা মাথায় রেখেই পিনাটকে যন্ত্রণা না দিয়ে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

একই অভিযানে মার্ক লঙ্গোর বাড়ি থেকে ফ্রেড নামে একটি র‍্যাকুনও আটক করা হয়। ওই প্রাণীটিকেও একইভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। নেটিজেনদের একটা বড় অংশ একে 'খুন'ই বলছেন।

এরপরই নিউইয়র্ক প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করেন মার্ক লঙ্গো এবং তার স্ত্রী ড্যানিয়েলা বিটনার ।

চলতি বছরের ২৭ জুন স্থানীয় ও রাজ্য সরকারের ৩৬ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আলাদা আরেকটি মামলা করেন। মার্ক ও বিটনার দম্পতি যুক্তি দেন যে তাদের পোষা প্রাণীর মৃত্যুর পর থেকে তারা মানসিক আঘাত এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

সেজু