বুলেট, বোমা ছাড়াও, সীমান্ত বন্ধ রেখে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি করে গাজাবাসীকে তিলে তিলে হত্যা করছে ইসরাইল।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদেরই বেশ কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র দেশ। এরপরই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণা মুছে ফেলতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। অধিকৃত পশ্চিমতীরের ই-ওয়ান এলাকায় ৩ হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণে অর্থমন্ত্রী বেজালেলের বিতর্কিত পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলো ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিশন।
এ অবস্থায় ইসরাইলি দখলদারিত্বের নতুন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জেরুজালেমের পূর্বদিকের ই-ওয়ান ভূখণ্ড নিয়ে ইসরাইলের নতুন ছক, ওই অঞ্চলে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করবে এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ণ করবে।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ বলেন, ‘নতুন বসতি স্থাপন এবং পশ্চিম তীর নিয়ে ইসরাইলি পরিকল্পনার সম্পূর্ণ নিন্দা জানাই। সমস্ত বসতি আইনের পরিপন্থী। , ফিলিস্তিনি ভূমিতে তাদের একতরফা পদক্ষেপ নেয়া উচিত নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিরাপত্তা পরিষদের ২৩৩৪ রেজোলিউশন। যা গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমস্ত বসতি অবৈধ বলে মনে করে। মার্কিন প্রশাসনসহ সমগ্র বিশ্ব এর পক্ষে ভোট দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘ইসরাইলি সরকারের জারি করা সিদ্ধান্ত খুবই বিপজ্জনক। এরমধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যন্ত ভয়াবহ বাস্তবতা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে মনে করে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। খোদ ইসরাইলিরাও মনে করছেন, ই-ওয়ান ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন তাদের ভবিষ্যৎকে হুমকিতে ফেলতে পারে।
তারা বলেন, ‘ইসরাইল যদি ই-১-এ নির্মাণ শুরু করে, তাহলে এটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সম্ভাবনার জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। এছাড়া বেজালেল স্মোট্রিচের এ পদক্ষেপ ইসরাইলের ভবিষ্যতকেও চরমভাবে প্রভাবিত করবে।’
পশ্চিম তীরের ই-ওয়ান এলাকায় ইসরাইলের বসতি স্থাপন পরিকল্পনা এবারই নতুন নয়। এর আগেও ওই স্থানে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ২০২২ সালে পরিকল্পনা স্থগিত করতে বাধ্যও হয়েছিল তেলআবিব। কিন্তু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে আবারও অপতৎপড়তা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরইমধ্যে এলাকাটির ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।