যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে তৎপর দেশটির সরকার। এ অবস্থায় নথিপত্রবিহীন অনেক অভিবাসীকে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। অনেকে আবার শরণার্থীর আবেদন করেছেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে।
শুরুর দিকে দ্রুত গতিতে এ আবেদনকারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সময়ের সঙ্গে মন্থর গতিতে এগোচ্ছে এর কার্যক্রম। তাই বেশ বিপদে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের বসবাসরত শরণার্থী আবেদনকারীরা। পুলিশের আটক এড়াতে ফ্ল্যাটে না থেকে তাদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার আবাসিক হোটেলগুলোতে।
এ পরিস্থিতিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হোটেলে আশ্রয় দেয়ায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেছে অভিবাসীদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়া সাধারণ মানুষ। শনিবার (২৩ আগস্ট) লন্ডন, ব্রিস্টল, হোরলে ও লিভারপুলে এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
দু'পক্ষের এ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। এসময় লিভারপুলের সেইন্ট জর্জেস হলেও বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি এ ইস্যুতে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে নিয়মিত বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে বারবার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীদের একটি পক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি বছর যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীর আবেদন পত্র জমা পড়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ অভিবাসন নীতিকে ভালো চোখে দেখছেন না অভিবাসী বিরোধীরা। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের চেয়ে অভিবাসী সংকট এখন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায় শরণার্থী আবেদনকারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। অ্যাসাইলাম আবেদনের পুরো সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি। মূলত হোটেলে অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতেই ব্রিটিশ সরকারের এই পরিকল্পনা।
এক্ষেত্রে মামলাগুলোর দ্রুত শুনানির লক্ষ্যে বিচারকদের নিয়ে একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হবে। যারা স্বাধীনভাবে দ্রুত মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করবে বলে জানান ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
তিনি জানান, বর্তমানে একটি আপিলের শুনানি হতে গড়ে এক বছরেরও বেশি সময় লাগে। যেখানে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৫১ হাজার মামলা। এই সময়ের ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের করদাতাদের খরচে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।