ইসরাইলের মুহুর্মুহু বিমান হামলা কেঁপে উঠলো রাজধানী সানা। বোমা বিস্ফোরণে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা গেছে। শহরটিতে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারসহ আরও বেশ কয়েকটি হুথি লক্ষবস্তুতে ধ্বংসাত্মক আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতে ঘটনা ঘটেছে।
দুদিন আগে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানোর দাবি করছে তেল আবিব। হুথিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে থাকলে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইয়েমেনে কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আমাদের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। হুথিদের আরও কঠিন মূল্য দিতে হবে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা আরও হামলা চালালে আরও চড়া মূল্য দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি পুরো অঞ্চল ইসরাইলের শক্তি এবং দৃঢ়তা সম্পর্কে জানতে পারছে। যে কেউ আমাদের লক্ষ্য করে হামলা চালালে আমরা তাদের ছাড়বো না।’
আরও পড়ুন:
গাজা আগ্রাসনের ফলে শুরু থেকেই ইসরাইল বিরোধী অবস্থানে ইয়েমেনের হুথিরা। ইসরাইল যতোই হুমকি ধামকি দিক, গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন থেকে পিছপা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে হুথি ও ইয়েমনের সাধারণ জনতা।
ইয়েমনের বাসিন্দারা বলেন, ‘যতো কিছুই হোক আমরা গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে যাবো। ইসরাইল যত কিছুই বলুক, আমরা আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ত্যাগ করব না। জীবনও যদি দিতে হয় তবুও আমরা এই পথেই এগিয়ে যাবো।’
ইয়েমেনে রোববার চালানো হামলায় ১০টির বেশি জঙ্গি বিমান অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যবস্তুটি ছিল ইসরাইল থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরে। এর আগে ১৭ আগস্ট সানায় থাকা হুথিদের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছিলো ইসরাইল। যার জবাবে শুক্রবার ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো হুথিরা।