ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফের হামলায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া তাদের আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ জানিয়েছে, রাজধানী সানা এলাকায় একটি বৈঠকে অংশ নেওয়ার সময় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়ে রাহাভিসহ হুতিদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘নিশ্চিহ্ন’ করা হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে হুতি বিদ্রোহীরা উত্তর-পশ্চিম ইয়েমেনের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সানা থেকে উৎখাত করে এবং দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-হাদাত জানিয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে হুতিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বিচার, যুব ও ক্রীড়া, সামাজিক কল্যাণ এবং শ্রম মন্ত্রী রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
হুতিদের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল-মাশাতের কার্যালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গুরুত্বরভাবেও আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হুতিদের উপ-প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ আহমেদ মিফতাহ রাহাভি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
রাহাভি ২০২৪ সালের আগস্টে থেকে এই পদে ছিলেন। তবে তাকে মূলত প্রতীকী প্রধান হিসেবে দেখা হতো। সামরিক অভিযান পরিকল্পনাসহ উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।
বৃহস্পতিবারের হামলায় হতাহতের মধ্যে হুতি আন্দোলনের সর্বোচ্চ নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুতি, সেইসাথে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং কর্মী বাহিনীর প্রধানের নাম নেই বলেও জানা গেছে।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে যে, ওই বৈঠকের গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা হামলা চালায়।
