সীমান্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান ভ্যালীর সংঘর্ষের কথা ভুলে এবার চীনের মাটিতে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম চীন সফরে গেলেন তিনি। দীর্ঘ ৭ বছর পর মোদির চীন সফরই যেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে তিয়ানজিনে এবারের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এসসিও সম্মেলনের।
সম্মেলন শুরু আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি- জিনপিংয়ের সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। তাদের এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে গলতে শুরু করেছে দীর্ঘ দিনের বৈরি সম্পর্কের বরফ। শত্রুতা ভুলে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভর করে চীন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক মজবুত করতে প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘রাশিয়ার কাজান শহরে গতবছর শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে এগিয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। কৈলাশ পুনরায় খুলে দেবে। দুই দেশের মধ্যে পুনরায় ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। এতে করে উভয় দেশের ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনগণ লাভবান হবে।’
আরও পড়ুন:
বৈঠকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধ্বংসের দেবতা শিবের বাসস্থান তিব্বতের কৈলাস পবর্ত পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন মোদি। একইসঙ্গে দুই দেশের সরাসরি ফ্লাইট চালু ইস্যুতে কথা হয় এ দুই নেতার।
অপরদিকে বৈশ্বিক পরিবর্তনের যুগে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্বের কথা বলেন জিনপিং।
সম্মেলনে অংশ নিতে এরইমধ্যে তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ প্রায় ২০ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। এরইমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস, মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিং অং হ্লাইসহ নেপাল, কাজাখস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠক করেছেন শি জিনপিং।
১৯৯৬ সালে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান ও তাজাখস্তান এই ৫ দেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও। বর্তমানে এর সদস্যরাষ্ট্র ১০টি।