আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এত ক্ষয়ক্ষতি কেন?

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি
বিদেশে এখন
0

মূলত জটিল ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষকে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকতে হয়। আর দুর্বল অবকাঠামো আর পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে বাড়ে ক্ষয়ক্ষতি। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, গত এক দশকে দেশটিতে ভূমিকম্পের কারণে প্রায় ছয় লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। আর এ কারণে গড়ে বছরে ১৮৮ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যে কয়টি দেশ আছে তার মধ্যে অন্যতম আফগানিস্তান। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ভূমিকম্পের কারণেই দেশটিতে বছরে গড়ে মারা যান ১৮৮ জন। গত এক দশকে এ দুর্যোগে প্রায় ছয় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ঝুঁকিতে থাকার বড় কারণ, কয়েকটি ভূমিকম্পপ্রবণ ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত আফগানিস্তান। যেখানে মিলিত হয়েছে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেট।

এছাড়া দেশটির অনেক ভবন কাঠ, কাঁচা ইট বা দুর্বল কংক্রিট দিয়ে তৈরি হওয়ায় সেগুলো মূলত ভূমিকম্প প্রতিরোধী হয় না। সেইসঙ্গে দেশটির বেশিরভাগ ভূমিকম্পের ঘটনাই ঘটে, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায়।

আরও পড়ুন:

পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি চাপা পড়ে এবং রাস্তাঘাট বন্ধসহ নদীর প্রবাহও আটকে যায় অনেক সময়। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় দুর্গম এলাকাগুলোয় উদ্ধারকর্মী ও সরঞ্জাম পাঠিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

এই যেমন দেশটির পূর্বাঞ্চলে রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর, রাস্তাঘাটে ফাটল দেখা দেয়ায় ঠিকমতো উদ্ধার অভিযান চালানো যাচ্ছে না। ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়ে বহু প্রাণহানির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০২২ সালে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির পূর্বাঞ্চলে কমপক্ষে এক হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হন আরও ৩ হাজার। 

আর তালেবানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। তবে জাতিসংঘ মৃতের সংখ্যা অনেক কম, যা প্রায় ১ হাজার ৫০০ বলে জানিয়েছিল।

এসএইচ