দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয় উপলক্ষে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৮০তম বিজয় দিবস। এরই মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
গাঢ় সবুজ বিশেষ বুলেটপ্রুফ ট্রেনে করে সোমবার পিয়ংইয়ং থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন কিম জং উন। স্থানীয় সময় আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) ভোরে গন্তব্যে পৌঁছান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুইসহ আরও অনেক শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এমন একটি ট্রেনে করেই কিম এর আগে চীন ও রাশিয়া সফর করেন। মূলত চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের স্থায়িত্বের বার্তা দিতেই তার এ সফর, এমন ধারণা বিশ্লেষকদের।
পশ্চিমা নেতাদের উপস্থিতি না থাকলেও এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ মিয়ানমার, ইরান, কিউবা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের সরকার প্রধানরা চীনের এ উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ অনুষ্ঠান যেন হয়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতায় একজোট হয়ে শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ।
আরও পড়ুন:
৮০ তম বিজয় দিবসে বেইজিংয়ের আকাশে একযোগে উড়তে দেখা যাবে ৮০ হাজার কবুতর ও ৮০ হাজার বেলুন। বেইজিংয়ের বিভিন্ন প্রান্তের কবুতর পালনকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রশিক্ষিত কবুতর পাঠিয়েছেন এ আয়োজনের জন্য।
এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন বেইজিং পুলিশ কলেজের ৬০০ শিক্ষার্থী, যারা বেলুন উড়ানোর কার্যক্রমে সহায়তার জন্য গত দুই মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এই শিক্ষার্থীদের মধ্যেই একজন বলেন, ‘জুনিয়র স্কুলে পড়াকালীন চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীর কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলাম। এবারের বিশাল কুচকাওয়াজ-সংক্রান্ত কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারা আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়।’
বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত ৭০ মিনিটের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে কয়েক লাখ সেনা সদস্য। এতে চীনের সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, বিমান, ট্যাংক ও অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থা প্রদর্শন করা হবে। এটি হতে যাচ্ছে নতুন সামরিক কাঠামোর প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী।