ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করে এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। ৭০ মিনিটের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে চীনা মিসাইল, লেজার সমরাস্ত্র আর আর জলে-স্থলে সমান শক্তিশালী ড্রোন অবাক করেছে অস্ত্র বিশেষজ্ঞ থেকে নির্মাতাদেরও- বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এবারের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং সমুদ্র-স্থল ও আকাশ থেকে ছোড়া যায় এমন সক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে চীন। এতে রয়েছে দীর্ঘ পাল্লার বিমানভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র জিংলেই-১, সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র জুলাং-৩ এবং স্থলভিত্তিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং-৬১ ও ডংফেং-৩১।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চীনের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি বেইজিং-এর মুখ্য শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও, এবারের কুচকাওয়াজে জাহাজ বিধ্বংসী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রেরও প্রদর্শনী করা হয়েছে।
ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে লেজার অস্ত্রেরও নতুন সংস্করণ এনেছে চীন। চীনা সংবাদমাধ্যম বলছে, এই নতুন আপগ্রেড চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ড্রোন বিরোধী সিস্টেমে 'ট্রায়াড'-এর সক্ষমতার প্রতিফলন।
এবারের কুচকাওয়াজে চীন এমন ড্রোনের প্রদর্শনীও করেছে যা পানির নিচে এবং আকাশে—উভয় জায়গায় ব্যবহার করা সম্ভব। এগুলো একদিকে যেমন নজরদারির কাজে ব্যবহার করা যাবে তেমনি হামলা করা যাবে লক্ষ্যবস্তুতেও। এছাড়াও প্রদর্শনীতে ছিল জাহাজ থেকে চলতে পারে এমন অটোমেটেড হেলিকপ্টার।