নেপালে টানা বিক্ষোভের জেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর কৃষিমন্ত্রীরও পদত্যাগ

নেপালের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান
বিদেশে এখন
0

দেশজুড়ে বিক্ষোভ আর সহিংসতায় ২০ জনের প্রাণহানির পর নেপালে একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর এবার দায়িত্ব ছাড়লেন কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রামনাথ আধিকারী। তিনি সরকারের দমননীতি ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভে তরুণদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গতকাল (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। এর পরেই প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক দায় স্বীকার করে দায়িত্ব ছাড়েন। আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) কৃষিমন্ত্রী রামনাথ আধিকারীও পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:

আধিকারী পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের প্রশ্ন তোলার ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সরকার সে অধিকার অস্বীকার করে দমননীতি ও হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে। এতে দেশ গণতন্ত্র নয়, বরং কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিসভার মুখপাত্র ও যোগাযোগমন্ত্রী পৃথিবী শুব্বা গুরুং ঘোষণা দেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নেপাল সরকার। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম আবার চালু হয়েছে। তবে টিকটক আগে থেকেই এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।

বিক্ষোভকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর দাবিই নয়, বরং দুর্নীতি বন্ধ ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত থাকায় নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে দেশটিতে।

এনএইচ