পদত্যাগপত্রে প্রধানমন্ত্রী ওলি উল্লেখ করেছেন, সাংবিধানিক পথে সংকটের সমাধানের জন্য তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাজধানীসহ সারা দেশে সোমবারের বিক্ষোভ ও পরবর্তী ঘটনাগুলো আমাকে দুঃখিত করেছে। কোনো ধরনের সহিংসতা দেশের স্বার্থে ভালো নয়। শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানই এখন প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:
এর আগে, দেশটির সেনাবাহিনী ওলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়। গুরুতর পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কারণে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত তরুণদের সংঘর্ষে ২০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে নেপালের তরুণ প্রজন্মের চলমান আন্দোলন শুরু হলেও তা এখন দেশের দুর্নীতিবিরোধী গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেন বিনোদন ও সংস্কৃতি জগতের তারকাও।
২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইউজন রাজভাণ্ডারি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আমাদের আন্দোলনের সূচনা করেছে। তবে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’
আরও পড়ুন:
২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইক্ষমা তুমরোক বলেন, ‘আমরা সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আমরা পরিবর্তন চাই।’
পদত্যাগের খবর দেশজুড়ে আনন্দ-উল্লাসের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসে রাস্তায় বেরিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেছে, যা নেপালের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।