সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি না-কি দেশটির বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান কুলমান ঘিসিং- নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের পদ নিয়ে আন্দোলনকারী জেন-জি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বিভাজন শুরু হয়েছিলো- তা কাটতে শুরু করেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, আজই শপথ নিতে পারেন সাবেক এই বিচারপতি।
আরও পড়ুন:
এরআগে, সুশীলা কার্কির বয়স নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির একজন প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিসিং এর নাম প্রস্তাব করে আন্দোলনকারীদের একাংশ। নেপালের দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিং সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখায় তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ভারতের জামশেদপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা অপেক্ষাকৃত তরুণ মুখ কুলমান ঘিসিং। তবে শেষ পর্যন্ত বর্ষীয়ান সুশীলা কার্কির ওপর আস্থা রাখছেন জেন-জি শিক্ষার্থীরা বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের পর নেপালে স্থিতিশীলতা ফেরাতে জেন–জিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে সেনাবাহিনী। বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে চলে আলোচনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা আলোচনার পর জেন-জি শিক্ষার্থীরা সুশীলার নাম প্রস্তাব করেন।
যদিও বর্তমান পার্লামেন্ট সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। এমন প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ। রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরও বলেছেন, কোনো শাসনব্যবস্থাই নাগরিক স্বাধীনতার চেয়ে বড় নয়।
এছাড়া, আন্দোলনরত জেন-জিদের একটি চিঠি দিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল। চিঠিতে আন্দোলনরতদের আশ্বস্ত করে বলছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সব ধরনের চেষ্টা করছেন তিনি।
আজও রাজধানী কাঠমান্ডুতে জরুরি অবস্থা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। কারফিউর মধ্যে দোকানপাট ও বাজার খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। এছাড়া, কাঠমান্ডুতে ধীরে ধীরে ব্যাংক পরিষেবা সচলের পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনী, চালু করা হবে সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কার্যক্রমও।