আবারও বৈরী আবহওয়ায় বিপাকে ভারতের দিল্লি। আকস্মিক বৃষ্টিপাতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিললেও, বুধবার ৭৯ কিলোমিটার গতিবেগের তীব্র ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন রাজধানী নয়াদিল্লির বাসিন্দারা। আবহাওয়ার এই বৈরিতা কেড়ে নিয়েছে কয়েকজনের প্রাণও।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, আরব সাগরে সৃষ্ট সাইক্লোনের প্রভাবেই আবহাওয়ার এই বিপর্যয়। বুধবার দিল্লিতে রেকর্ড করা হয়েছে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ, বিলবোর্ড ও কাঁচা বাড়ি। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিও বাড়িয়েছে ভোগান্তি।
এদিন রাজধানীতে শিডিউল বিপর্যয়ের শিকার হয় অর্ধশতাধিক ফ্লাইট। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাবার পথে এদিন শিলাবৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ের কবলে পড়েছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এতে ভয়াবহ টার্বুলেন্সের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানটির সামনের অংশ। যদিও, প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রীনগরে নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।
ট্র্যাকে বিভিন্ন বস্তু পড়ে থাকায় বিঘ্নিত হয় দিল্লির মেট্রো সার্ভিসও। এতে সময়ের সঙ্গে সড়ক পথে বাড়তে থাকে গাড়ির চাপ। এক্সপ্রেসওয়েতেও দেখা দেয় গাড়ির দীর্ঘ সারি।
আইএমডির পূর্বাভাস বলছে, বৃহস্পতিবার দিল্লির তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে থাকলেও পরের দুই দিনে ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রির ঘর। তবে অতিবৃষ্টি শঙ্কায় কর্ণাটক, কেরালা, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর বেশ কিছু অঞ্চলে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। পুরো সপ্তাহজুড়ে বজ্র বৃষ্টিসহ শিলাঝড়ের দেখা পেতে পারেন সিকিম, আসাম ও মনিপুরের বাসিন্দারা।